1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : akter.panna.1 :
  3. [email protected] : Ashraful Abedin : Ashraful Abedin
  4. [email protected] : masud :
রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:০৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
ঈশ্বরদী ক্যাবল নেটওয়ার্কের (আইসিএন) আহবায়ক কমিটি গঠন ভারতে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ৭১’র মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিবাদ ঈশ্বরদীতে যুবদলের গোলটেবিল বৈঠকে বিএনপিকে দ্বিধামুক্ত করার অঙ্গিকার ব্যক্ত যুবদল নেতাদের ঈশ্বরদীর পাকশী ও দাশুড়িয়ায় তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়ন ও ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত কল্পে সিদ্ধান্ত গ্রহণ-লিফলেট বিতরণ পাকশী রেলওয়ে প্রকৌশলী বিভাগের প্রেসবিজ্ঞপ্তি ঝুঁকিপূর্ণ না হওয়ায় পুরাতন যমুনা রেলসেতু লাইনের ব্যালাস্ট পাথর ব্যবহার করে আর্থিক সাশ্রয় পাকশী বিভাগে ঈশ্বরদীতে যুবদলের নেতৃত্বে দ্বিধাবিভক্ত বিএনপিকে একত্রে করার সিদ্ধান্ত চাটমোহর থানার অফিসার ইনচার্জ মঞ্জুরুল আলমকে জেলার শ্রেষ্ঠ অফিসার নির্বাচিত করে ক্রেস্ট প্রদান ঈশ্বরদীতে জাতীয় কন্যাশিশু দিবস পালিত ঈশ্বরদীর কালিকাপুরে ট্রেনে কেটে ইমরান নিহত

কোভিড-১৯ আক্রান্ত বা এর উপসর্গ দেখা দিলে কি আমার শিশুকে মায়ের দুধ খাওয়ানো উচিত?

  • প্রকাশিত : শুক্রবার, ১৮ জুন, ২০২১
  • ১২৯৮ বার দেখা হয়েছে

অনলাইন ডেক্স।। আপনি যদি একজন মা হয়ে থাকেন বা মা হওয়ার অপেক্ষায় থাকেন, তাহলে এই করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) মহামারীর মধ্যে আপনার সন্তানের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ কী, সেই প্রশ্নটা মনে আসা স্বাভাবিক।

শিশুকে মায়ের দুধ খাওয়ানোর স্বপক্ষে বহু প্রমাণ রয়েছে। শারীরিক সংস্পর্শ এবং শুরুতেই ও পুরো মাত্রায় বুকের দুধ খাওয়ানো আপনার শিশুর বিকাশে সহায়তা করবে। এই মহামারীর মধ্যে তা বন্ধ করার কোনো কারণ নেই। এখন পর্যন্ত মায়ের দুধ এবং তা খাওয়ানোর মধ্য দিয়ে কোভিড-১৯ যা সংক্রমণের প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

খুব অল্প সময়ের মধ্যে যদি আপনার সন্তান হওয়ার কথা থাকে, তাহলে আপনাকে নিরাপদে শিশুকে মায়ের দুধ খাওয়ানো, তাকে ত্বকের সংস্পর্শে নেওয়া এবং শিশুকে নিয়ে এক কক্ষে থাকতে সহায়তা করা উচিত।

আপনার নিজের ও সন্তানকে নিরাপদ রাখতে সহায়তার জন্য নতুন মা ও হবু মায়েদের কাছ থেকে আসা কিছু সাধারণ প্রশ্ন এখানে তুলে ধরা হল। আপনি সুস্থ বোধ করেন বা কোভিড-১৯ এর লক্ষণ ও উপসর্গ দেখা দিক – যে কোনো পরিস্থিতির জন্য এগুলো জেনে নেয়া গুরুত্বপূর্ণ।

মহামারীর সময় কি মায়ের দুধ খাওয়ানো উচিত?
নিঃসন্দেহে। মায়ের দুধে অ্যান্টিবডি থাকে যা শিশুর শারীরিক বিকাশ ত্বরাণ্বিত করে এবং তাকে অনেক ধরনের রোগ সংক্রমণ থেকে সুরক্ষা দেয়। কোনো শিশু কোভিড-১৯ আক্রান্ত হলে মায়ের দুধে থাকা অ্যান্টিবডি এবং ল্যাক্টোফেরিন, ল্যাকটাডহেরিন, এপিডারমাল গ্রোথ ফ্যাক্টর ও এরিথ্রোপোইটিনের মতো বায়ো-অ্যাকটিভ ফ্যাক্টরগুলো এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়তে সহায়তা করে।

আপনার শিশুর বয়স ৬ মাস বা তার কম হলে তাকে শুধুমাত্র মায়ের দুধ খাওয়ানো উচিত। সন্তানের বয়স ৬ মাসের বেশি হলে নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর সম্পূরক খাবারের সঙ্গে মায়ের দুধ দেওয়া চালিয়ে যেতে হবে।

মায়েরর দুধ খাওয়ানোর মধ্য দিয়ে আপনার থেকে সন্তানের দেহে কোভিড-১৯ সংক্রমণ ঘটতে পারে?
এখন পর্যন্ত মায়ের দুধ এবং তা খাওয়ানোর মধ্য দিয়ে কোভিড-১৯ সংক্রমণের প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে গবেষকরা এখনও বুকের দুধ নিয়ে কাজ করছেন।

আপনার নবজাতকের সঙ্গে শারীরিক সংস্পর্শ বজায় রাখুন। আপনার নবজাতককে কাছে রাখুন যাতে দ্রুতই মায়ের দুধ খাওয়ানো শুরু করা যায়, যা নবজাতকের মৃত্যু হারও কমিয়ে দেয়। সন্তান জন্মের প্রথম ঘণ্টার মধ্যেই ভূমিষ্ঠ শিশুকে মায়ের দুধ খাওয়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে।

কোভিড-১৯ আক্রান্ত বা এর উপসর্গ দেখা দিলে কি আমার শিশুকে মায়ের দুধ খাওয়ানো উচিত?
হ্যাঁ। যথাযথ পূর্ব সতর্কতা অবলম্বন করে মায়ের দুধ খাওয়ানো চালিয়ে যেতে হবে। সতর্কতা হিসেবে সম্ভব হলে মাস্ক পরতে হবে, শিশুকে ধরার আগে ও পরে সাবান পানি দিয়ে হাত ধুয়ে নিতে হবে বা অ্যালকোহল মিশ্রিত হ্যান্ড রাব দিয়ে হাত পরিষ্কার করে নিতে হবে। আপনার ব্যবহৃত এবং হাত দিয়ে ধরা সব কিছু নিয়মিত পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত রাখতে হবে। আপনার বুক ধুয়ে নিতে হবে শুধু তখনই যদি আপনার বুকে কফ বা হাঁচি-কাশির মাধ্যমে নির্গত অতি ক্ষুদ্র জলকনা (ড্রপলেটস) পড়ে। অন্যথায়, প্রতিবার শিশুকে মায়ের দুধ দেওয়ার আগে আপনার বুক ধুয়ে নেওয়ার দরকার নেই।

মায়ের দুধ খাওয়ানোর মতো সুস্থতা বোধ না করলে আমার কী করা উচিত?
যদি আপনি শিশুকে স্তনদানের মতো সুস্থতা বোধ না করেন তাহলে তাকে নিরাপদে মায়ের দুধ সরবরাহের জন্য বিকল্প উপায় খুঁজে বের করার চেষ্টা করুন। টেনে মায়ের দুধ বের করে তা একটি পরিষ্কার কাপ বা চামচের মাধ্যমে আপনার সন্তানকে খাওয়ান। আপনার এলাকায় শিশুকে মায়ের দুধ দান মতো কেউ থাকলে তার সহায়তা নেওয়ার কথাও ভাবতে পারেন। আপনার সামনে কী কী সুযোগ আছে সেগুলো নিয়ে ব্রেস্টফিডিং পরামর্শক বা স্বাস্থ্যকর্মীর সঙ্গে কথা বলুন।

মায়ের দুধ উৎপাদন ঠিক রাখার জন্যও টেনে দুধ বের করাটা (এক্সপ্রেসিং ব্রেস্টমিল্ক) গুরুত্বপূর্ণ যাতে আপনি সুস্থ হওয়ার পরেও আপনার সন্তানকে দুধ খাওয়াতে পারবেন। কোভিড-১৯ সংক্রমণ নিশ্চিত হলে বা সন্দেহ দেখা দেওয়ার পর শিশুকে মায়ের দুধ খাওয়ানোয় বিরতির সুনির্দিষ্ট কোনো সময়সীমা নেই।

নিজের বুকের দুধ টেনে দেওয়া বা অন্য কোনো মায়ের দুধ পাওয়া না গেলে কেবল তখনই ওয়েট নার্সিং (শিশুকে স্তনদান ও লালন-পালনের জন্য কাউকে নিয়োগ করা) অথবা নবজাতকদের জন্য তৈরি ফর্মুলা মিল্ক দেওয়ার কথা ভাবা যেতে পারে। তবে ফর্মুলা মিল্ক সঠিকভাবে প্রস্তুত ও নিরাপদ হতে হবে।

সন্তান অসুস্থ হলে কি মায়ের দুধ দেওয়া উচিত?
শিশু অসুস্থ হলেও তাকে মায়ের দুধ দেওয়া চালিয়ে যেতে হবে। আপনার ছোট্ট সোনামনি কোভিড-১৯ বা অন্য কোনো রোগে আক্রান্ত হলেও তাকে মায়ের দুধ খাওয়ানোটা গুরুত্বপূর্ণ। বুকের দুধ আপনার শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে এবং আপনার দেহের অ্যান্টিবডি মায়ের দুধের মধ্য দিয়ে তার দেহে যাবে, যা সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়তে তাকে সহায়তা করবে।

মায়ের দুধ খাওয়ানোর সময় আমার কী কী পূর্ব সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত?
নির্দেশনা অনুযায়ী যথাযথভাবে হাত ধুয়ে নিতে হবে। সন্তানকে ধরার আগে ও পরে সাবান ও পানি দিয়ে আপনার হাত দুটো ধুতে হবে। হাত পরিষ্কার-জীবাণুমুক্ত করতে আপনি অ্যালকোহল মিশ্রিত হ্যান্ড রাবও ব্যবহার করতে পারেন। আপনি যেসব জায়গা বা জিনিসপত্র স্পর্শ করবেন, সেগুলোও পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত করা গুরুত্বপূর্ণ।

ব্রেস্টমিল্ক পাম্প, দুধ রাখার পাত্র এবং শিশুকে দুধ খাওয়ানোর সরঞ্জামগুলো প্রতিবার ব্যবহারের পর পরিষ্কার করতে হবে। সূত্রঃ ইউনিসেফ।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ

সাম্প্রতিক সংবাদ

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায় সিসা হোস্ট