এডভোকেট হেদায়েত-উল হক/শিন: এডভোকেট আব্দুল্লাহ আল শোভন ।। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শের সৈনিক ক্যারিশম্যাটিক জননেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম সরদার এর বিএনপি প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকে অদ্যবধি দীর্ঘ রাজনৈতিক পথচলার বর্ণাঢ্য ইতিহাস ঈশ্বরদী-আটঘরিয়ার সকল শ্রেণীপেশার মানুষের হৃদয়ে গেঁথে আছে।বিভিন্নভাবে নির্যাতিত নানা শ্রেণীপেশার মানুষ,প্রকৃত বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী,দেশপ্রেমিক সুশীল সমাজ,বিভিন্ন পেশাজীবিসহ রুচিশীল সাধারণ মানুষের কাছে তিনি দেবতার মত যোগ্য সম্মানের স্থানে অবস্থান করা সদালাপী,মৃষ্টভাষী,ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন পরীক্ষিত রাজনৈতিক নেতার বিএনপির রাজনৈতিক জীবনের সংক্ষিপ্ত কাহিনী তুলে ধরা হলো । দুইবারের নির্বাচিত এমপি ও পরীক্ষিত জননেতা সিরাজুল ইসলাম সরদার ১৯৭৮-সালে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক যুবদলের পাকশী ইউনিয়ন শাখার যুগ্ন আহ্বায়ক নির্বাচিত হন। ১৯৭৯-সালে জাতীয়তাবাদী যুবদল ঈশ্বরদী উপজেলা শাখার যুগ্ন আহবায়ক নির্বাচিত হন। ১৯৮১-সালে জাতীয়তাবাদী যুবদল ঈশ্বরদী উপজেলা শাখার আহ্বায়ক নির্বাচিত হন। ১৯৮২-সালে
জাতীয়তাবাদী যুবদল পাবনা জেলা শাখার সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে দুই বছর সফলভাবে দায়িত্ব পালন করার পর ১৯৮৪-সালে ঈশ্বরদী উপজেলা যুবদলের সভাপতি ও উপজেলা বিএনপির সংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন ।পাঁচ বছর সফলভাবে দায়িত্ব পঅলনের পর তিনি ১৯৮৯-সালে
বাংলাদেশ রেলওয়ে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক ও কর্মচারী দলের কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা নির্বাচিত হয়ে তাঁর ক্ষুরধারো উপদেষ্টা পদে নেতৃত্বের সাক্ষর রাখেন। সঠিক দায়িত্বপালন আর জনমুখি নেতৃত্বের কারণে তাকে ১৯৮৯-সালে তাকে আওয়ামীলীগের বর্ষিয়ান নেতা সাবেক এমপি নুরুজ্জামান বিশ্বাসের বিপরীতে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয়ভাবে প্রার্থী করা হলে
তিনি নুরুজ্জামান বিশ্বাসের নিকট পরাজিত হন । ঐ নির্বাচনে নুরুজ্জামান বিশ্বাসের প্রাপ্ত ভোট ২৩ হাজার প্লাস এবং সিরাজুল ইসলাম সরদারের প্রাপ্ত ভোট ২১০০০ প্লাস । বিপুল জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে তিনি ১৯৮৯-সালে ঈশ্বরদী উপজেলা ছাত্রলীগ,যুবলীগ ও আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের ছুরিকাঘাতে মারাতœক আহত হয়ে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়েন। এগারো টুকরো নারী কাটায় মৃত্যুমায়ী নেতা দীর্ঘদিন পর সুস্থ হয়ে পুনরায় রাজনীতিতে ফিরে আসেন। ১৯৯০ সালে স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার নির্দেশে ঈশ্বরদী,পাকশী ও আটঘরিয়া এলাকায় তার নেতৃত্বে ব্যাপক আন্দোলন গড়ে উঠেছিল । তার নেতৃত্বে পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের অফিসের অপারেশনাল কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়। আপোসহীন এই নেতার নেতৃত্বে সে সময় পুলিশ অফিসার ভাসতি জামাইও এরশাদের পক্ষে কাজ করতে গিয়ে বাধাগ্রস্ত ও আহত হন। ১৯৯১-সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তৎকালীন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান হাবিবের নৌকাকে প্রায় দশ হাজার ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে ধানের শীষের বিজয়ের মাধ্যমে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেন। ১৯৯৪-সালে মির্জা আব্বাস-গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের কেন্দ্রিয় যুবদলের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়ে সঠিক দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে সুনাম অর্জন করেন। ১৯৯৬-সালে
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাবেক এমপি আব্দুল বারী সরদারকে বিপুল ভোটে পরাজিত করে দ্বিতীয়বার জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন ।
১৯৯৬-সালে পুনরায় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হয়ে অভ্যন্তরীণ ষড়যন্ত্রের কারনে পরাজিত হন। ১৯৯৬-সালে হাবিবুর রহমান হাবিব আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে বিএনপিতে যোগদান করে ধানের শীষের বিপক্ষে টেলিভিশন মার্কা প্রতিক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেন ।
সিরাজুল ইসলাম সরদার ২০০১-সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষের প্রার্থী হয়েও পরাজিত হন হাবিবুর রহমান হাবিবের বিরোধিতার কারণে । এই নির্বাচনে হাবিবুর রহমান হাবিব ধানের শীষের বিপক্ষে কুড়াল প্রতিক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে বিএনপির ক্ষতি করেন। এরপর ২০০২-সালে
দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে মাধ্যমে বিপুল ভোটে সিরাজুল ইসলাম সরদার ঈশ্বরদী উপজেলা বিএনপির সভাপতি নির্বাচিত হন ।
২০০২-সালে দ্বিবার্ষিক সম্মেলনের মাধ্যমে বিপুলভোটে পাবনা জেলা বিএনপির সভাপতি নির্বাচিত হন । তিনি সফলভাবে জেলা বিএনপির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। এরপর আর কেউই জেলার সভাপতি নির্বাচিত বা জেলা সম্মেলন করা সম্ভব হয়নি।
২০০৮-সালে আবারও জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রায় এক লক্ষ দশ হাজার ভোট পেয়েও আওয়ামীলীগের প্রহসন ও হাবিবুর রহমান হাবিবের বিরোধীতা ও ষড়যন্ত্র কারণে পরাজিত হন। এরপর তিনি ২০০৮-সালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য নির্বাচিত হয়ে অদ্যবধি দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।
ওয়ান ইলেভেনের সময় যৌথ বাহিনীর নির্যাতনের শিকার হন। এসময় যৌথ বাহিনী তাকে আটক করে প্রথমে পাবনা পরে নওগাঁ কারাগারে প্রেরণ করে। সেখানে তাকে এক বছর অমানুষিক নির্যাতনের মধ্যে কারান্তরিত জীবন যাপন করতে হয়েছে। ঈশ্বরদী উপজেলা বিএনপিকে প্রতিষ্ঠিত করতে তাকে অনেক হামলা-মামলার শিকার এবং শরীরের রক্ত ঝরাতে হয়েছে।
দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি হামলা মামলা ও ষড়যন্ত্রের মধ্যে থেকেও দলীয় গঠনতন্ত্র বিরোধী কোনো কর্মকান্ড করেননি বলেই অজো পাড়া গাঁ থেকে শুরু করে রাজধানীর বিএনপির দলীয় হাই কমান্ড পর্যন্ত তার যথেষ্ট সুনাম রয়েছে। এসব নানাবিধ গুণাবলীর কারণেই ঈশ্বরদী ও আটঘরিয়ার গণমানুষের কাছে আজ এই ত্যাগী,সাহসী,নির্যাতিত জনমুখি ও ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন নেতা বিএনপির কেন্দ্রিয় নির্বাহী কমিটির সদস্য,সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব,পাবনা জেলা বিএনপির সাবেক সফল সভাপতি,সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম সরদারের বলিষ্ট নেতৃত্বের প্রহর গুণছেন।#
ক্যাপশস ।। বিএনপির কেন্দ্রিয়নেতা,সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম সরদারের পিপি সাইচেজর ছবি।
Leave a Reply