1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : akter.panna.1 :
  3. [email protected] : Ashraful Abedin : Ashraful Abedin
  4. [email protected] : masud :
সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫, ১২:২০ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
ঈশ্বরদীর পাকশী ও দাশুড়িয়ায় তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়ন ও ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত কল্পে সিদ্ধান্ত গ্রহণ-লিফলেট বিতরণ পাকশী রেলওয়ে প্রকৌশলী বিভাগের প্রেসবিজ্ঞপ্তি ঝুঁকিপূর্ণ না হওয়ায় পুরাতন যমুনা রেলসেতু লাইনের ব্যালাস্ট পাথর ব্যবহার করে আর্থিক সাশ্রয় পাকশী বিভাগে ঈশ্বরদীতে যুবদলের নেতৃত্বে দ্বিধাবিভক্ত বিএনপিকে একত্রে করার সিদ্ধান্ত চাটমোহর থানার অফিসার ইনচার্জ মঞ্জুরুল আলমকে জেলার শ্রেষ্ঠ অফিসার নির্বাচিত করে ক্রেস্ট প্রদান ঈশ্বরদীতে জাতীয় কন্যাশিশু দিবস পালিত ঈশ্বরদীর কালিকাপুরে ট্রেনে কেটে ইমরান নিহত  ঈশ্বরদী-আটঘরিয়ায় শারদীয় দুর্গাপূজা মন্দির পরিদর্শন ও কুশল বিনিময় বিএনপি ও জামায়াত নেতৃবৃন্দের পাবনা জেলা বিএনপির আহবায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব সমর্থিত বিএনপির দু’গ্রুপের মারপিট,বিক্ষোভ মিছিল,আহত-৯ ,পশুহাট পন্ড ঈশ্বরদীর অভিভাবকহীন গুরুত্বপূর্ণ তিনটি রোড বর্তমানে একেবারেই চলাচলের অযোগ্য হওয়ায় প্রতিনিয়ত ঘটছে দূর্ঘটনাি

রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র প্রকল্পের রাশিয়ান সাব-ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানে নানা অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগে শ্রমিক আন্দোলন

  • প্রকাশিত : বুধবার, ৭ এপ্রিল, ২০২১
  • ১৪০৭ বার দেখা হয়েছে
রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র প্রকল্পের রাশিয়ান সাব- ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নিকিম এর আন্দোলনরত শ্রমিকদের একাংশ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ঘুষ নিয়ে চাকরী দেওয়া, নির্ধারিত বেতন থেকে কম করে বেতন দেওয়া, সকল শ্রমিক দিয়ে একস্থানে এক ধরনের কাজ করিয়ে কমবেশী করে বেতন দেওয়াসহ নানা অনিয়ম ও দূর্নীতির কারণে নির্মানাধীন রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র প্রকল্পের রাশিয়ান সাব-ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নিকিম এর কয়েকজন দোভাষী ও কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে প্রায় তিন হাজার শ্রমিক স্বোচ্চার হয়ে উঠেছে। শ্রমিকরা মঙ্গলবার রাত থেকে কর্মবিরতি করে আন্দোলন শুরু করেছে। সঠিকভাবে বেতন দেওয়া না হলে আন্দোলন ও কর্মবিরতি চলবে। ন্যায্য বেতন প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত আন্দোলন ও কর্মবিরতিতে অংশ গ্রহণকারী শ্রমিক ও ভুক্তভোগীদের দেওয়া অফিভযোগ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সূত্রমতে, রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র প্রকল্পের কাজ শুরুর পর থেকেই রাশিয়ান সাব-ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নিকিম এর বিতর্কিত আশরাফুল ও নাজমুলসহ কয়েকজন দোভাষী ও হিসাব বিভাগের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ঘুষ নিয়ে চাকরী দেওয়া, নির্ধারিত বেতন থেকে কম করে বেতন দেওয়া, সকল শ্রমিক দিয়ে একস্থানে একই ধরনের কাজ করিয়ে কমবেশী করে বেতন দেওয়া ও চাকরীর বয়স ছয় মাস হলেই শ্রমিকদের চাকরীচ্যুত করে আবার ২০ থেকে ৫০ হাজার করে টাকা নিয়ে চাকরী দেওয়াসহ নানা অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ মানুষের মুখে মুখে ভাসতে থাকে। এমনই পরিস্থিতিতে গত বছরের মাঝামঝি সময়ে ঐ কোম্পানীর শ্রমিকদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেলে শ্রমিকরা কর্মবিরতিসহ আন্দোলন শুরু করে কয়েকজন দোভাষীকে মারপিট করে। এসময় কয়েকজন শ্রমিকও আহত হয়।

পরিস্থিতি বেগতিক দেখে সেনাবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে এবং আশরাফুলকে বহিস্কার করা হয়। এর পর থেকে ঐ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের মধ্যে তেমন কোন ক্ষোভ দেখা যায়নি। কিন্তু প্রকল্পের সংশ্লিষ্ট দু’একজন উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে উক্ত আশরাফুলের বিশেষ সম্পর্ক থাকায় বেশ কিছুদিন পর তাকে আবারও রাশিয়ান সাব-ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নিকিম এ চাকরী দেওয়া হয়। এর পর থেকে উক্ত দোভাষী আশরাফুল ও ট্রান্সপোর্ট বিভাগের দায়িত্বে থাকা নাজমুল হিসাব বিভাগের কর্মকর্তাদের সাথে যোগসাজস করে পূর্বের ন্যায় শ্রমিকদের বেতন কেটে ৩০ হাজারের স্থলে ৭ হাজার, ২০ হাজারের স্থলে ৩ হাজার টাকা করে বেতন দেওয়া শুরু করে। প্রতিমাসেই বাই রোটেশন নিয়মে বিভিন্ন শ্রমিকের বেতন কেটে নিয়ে কমকরে বেতন প্রদান অব্যাহত রাখে। আবার যেসব শ্রমিকরা গোপনীয় নির্ধারিত নিয়মে বেতনের কমিশন তাদের দিয়ে থাকে তাদেরকে ৪০ থেকে ৭০ হাজার টাকা পর্যন্ত বেতন দেওয়াসহ নানা প্রকার সুযোগ সুবিধা প্রদান করা অব্যাহত থাকে। দোভাষী আশরাফুল ও ট্রান্সপোর্ট বিভাগের দায়িত্বে থাকা দোভাষী নাজমুল এর যোগসাজসে টাকা নিয়ে চাকরী দেওয়া কয়েকজন শ্রমিককে ছাঁটাই করার ঘোষনা দিয়ে পুণরায় চাকরীতে নিয়োগের জন্য জন প্রতি ৫০ হাজার করে টাকা দাবি করেন । অবস্থা বেগতিক দেখে ঐ শ্রমিকদের পক্ষ থেকে গত ১ এপ্রিল সকালে ঈশ্বরদী শহরের কলেজ রোড এলাকা থেকে মুন্না ও ইমরান নামের দু’যুবক নাজমূলকে হোন্ডায় তুলে নিয়ে যেতে লাগলে ঈশ্বরদী থানা পুলিশ নাজমুলসহ তিনজনকে আটক করে থানা হাজতে রাখে। পরে নানা তদ্বিরে ২ এপ্রিল ভোরে তারা থানা থেকে ছাড়া পায়। সর্বশেষ গত ৬ এপ্রিল শ্রমিকরা বেতন পাওয়ার পর বুঝতে পারে যে,৩০ হাজারের স্থলে ৭ হাজার,২০ হাজারের স্থলে ৩ হাজার টাকা করে বেতন দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি একে অপরের মধ্যে বলাবলির এক পর্যায়ে ৬ এপ্রিল রাতে
সাব-ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নিকিম এর ৩ নম্বর ইউনিটে উত্তেজনা ও বাকবিতন্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও দোভাষীদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এতে শ্রমিকদের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়। ফরে আজ বুধবার সকাল থেকেই ৩ নম্বর ইউনিটে সুবিধা বঞ্চিত শিংহভাগ শ্রমিকরা কর্মবিরতি করে আন্দোলনে জড়িয়ে পড়ে।

সুত্রমতে, বেতন শীট তৈরী করা হয় দু’প্রকার। প্রকৃত বেতন শীট তৈরী করে মস্কোতে পাঠানো হয়। মস্কো থেকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সঠিকভাবে রুপপুর প্রকল্প থেকে পাঠানো বেতন শীট অনুযায়ী বেতনের সমুদয় টাকা পাঠায়। কিন্তু অভিযুক্ত ব্যক্তিরা প্রকল্পের উচ্চ পর্যায়ের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের সাথে আঁতাত করে কাজের শুরু থেকেই বেতন প্রদানের আগে দু’নম্বর বেতন শীট দেখিয়ে বেতন প্রদান করে আসছে । এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত শ্রমিকদের কর্মবিরতি ও আন্দোলন চলছিল।
দেশের মেগা প্রকল্পের ভাব মূর্তি রক্ষার্থে এবং সকল প্রকার কাজের গুণগত মান ঠিক রাখার স্বার্থে প্রধানমন্ত্রীর জরুরি হস্তক্ষেপ ও দূর্ণীতি মুক্ত দুদক কর্মকর্তাদের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছে সূত্রটিসহ সচেতন এলাকাবাসী।
এসব অভিযোগের বিষয়ে জানার জন্য প্রকল্পের সাইট ইনচার্জ রুহুল কুদদুরে মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও ফোন রিসিভ করা হয়নি।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ

সাম্প্রতিক সংবাদ

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায় সিসা হোস্ট