
স্টাফ রিপোর্টার,ঈশ্বরদী : বাংলাদেশ রেলওয়ে অনেক পুরাতন হয়ে গেছে বলেই রেলকে মর্ডানাইজ করতে হবে এজন্যই কন্ট্রোল অফিসসহ কোথায় কোথায় মর্ডানাইজ করতে হবে সেগুলো দেখার জন্য ট্রান্সপোর্টেশন হাবগুলো দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন, (সড়ক,সেতু ও রেল মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা সম্পন্ন)প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী শেখ মইনউদ্দিন। আজ সোমবার বিকেলে পাকশী বিভাগীয ব্যবস্থাপকের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

পাকশী বিভাগীয় ব্যবস্থাপক মীর লিয়াকত শরীফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মত বিমিয় সভায় পশ্চিমাঞ্চল রেলের মহব্যবস্থাপক ফরিদ উদ্দিন,প্রধান প্রকৌশলী,আহমেদ হোসেন মাসুম, প্রধান পরিবহণ কর্মকর্তা আহসান উল্লাহ ভ’ইয়া, পাকশীর বাণিজিক কর্মকর্তা গৌতম সাহা,ডিইএন/ওয়ান আব্দুল হানিফ,ডিইএন/টু নাজিব কাইসার,সেতু প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন,ডিএমই লোকো ময়েন উদ্দিন,ডিএমই ক্যারেজ রবিউল ইসলাম,ডিটিও হাসিনা বেগম, ডিএসটিই সংকেত আহমেদ ইসতিয়াক জহুর, ডিএসটিই টেলিকম,সৌমিক শাওন কবীর,ডিইই রিফাত সশাকিল ও এইএন আবু জাফর,ঈশ্বরদী উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি তৌহিদ আক্তার পান্না,রেল শ্রমিক দলের সভাপতি সোহেল রানাসহ পাকশী বিভাগীয় অন্যান্য কর্মকর্তা ও শ্রমিক দলের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথি আরও বলেন,৪৮ বছরের পুরানো কন্ট্রোল অফিসের সবকিছু মডানাইজ করা দরকার। সম্মোক জ্ঞান অর্জনের জন্যই পশ্চিমাঞ্চল রেলের পাকশীতে পরিদর্শন করা হবে। পূর্বঞ্চল রেলওয়ের চট্রগ্রামে গিয়ে সবকিছু পর্যবেক্ষণ করা শেষ হলে কোথায় কি বিনিয়োগ করা যুক্তিসঙ্গত হবে সেটাই চিহ্নিত করা হচ্ছে।

সভা শেষে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারীর নিকট ঈশাখাঁর স্মৃতি বিজরিত দেশের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জনপথ ঈশ্বরদী ও নিকটস্থ জেলার মানুষের স্বার্থে এবং বাংলাদেশ রেলওয়ের যাত্রী সেবার মানবৃদ্ধি কল্পে প্রয়োজনীয সংখ্যক ইঞ্জিন ও কোচ আমদানী করত: ঐতিহাসিক ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংসন স্টেশনে ঢাকাগামী আন্তঃনগর ট্রেনবৃদ্ধি,চালুর অপেক্ষায় থাকা পাবনা এক্সপ্রেস ট্রেনটিকে পাবনা,ঈশ্বরদী,ঢাকার মধ্যে চালুকরা খুবই জরুরি। একই সাথে যাত্রীসেবার মানবৃদ্ধি ও রাজস্ব আয়বৃদ্ধি কল্পে রাজশাহী থেকে রাতের বেলায় খুলনাগামী একটি ট্রেন চালু করা জরুরি।

ঈশ্বরদী বাইপাস স্টেশনে বুড়িমারী, লালমনি, নীলসাগর, পঞ্চগড়,কুড়িগ্রাম ও রংপুরএক্সপ্রেস এবং মুলাডুলিতে যেকোন একটি ট্রেনসহ উল্লেখিত ট্রেনগুলির স্টপেজ জরুরি হয়ে পড়েছে।ঈশ্বরদীকে দুইভাগে বিভক্তকারী রেলগেটে দীর্ঘক্ষণ যানজট সমস্যার বিকল্প সমাধান হিসেবে টানেল দিয়ে চলাচলের ব্যবস্থা চালুকরণে পুরাতন টানেল সংস্কার।ঈশ্বরদী লোকোসেডে টার্ণ টেবিলনির্মাণ।
ফুটওভার ব্রীজে চলন্ত সিঁড়ি নির্মাণ বা লিফ্ট স্থাপন। ঈশ্বরদী স্টেশনে এ্যাপ্রোচ এবং কারপার্কিং স্থাপন। দেশের অন্যতম গুরুত্বপূণর্ কেপি আইভুক্ত জাতীয় সম্পদ হার্ডিঞ্জ ব্রীজের ফেন্সিং নির্মাণ। ঈশ্বরদীর ঐতিহাসিক রেলওয়ে জংশন স্টেশনকে আধুনিকায়ন করা। ঈশ্বরদী থেকে পাকশী রাস্তা নির্মাণ। পাকশী কবরস্থান থেকে পাকশী রেলওয়ে অফিসে প্রবেশের রাস্তাসহ অফিস চত্বরে চলাচলের সকল রাস্তা মেরামত করা জরুরি। রেলওয়ে পশ্চিম ও পূর্বাঞ্চল মিলে নিরাপত্তাবাহিনীর একজন চীফ কমান্ডেন্ট পদ সৃষ্টি করা প্রয়োজন। চলমান বিধি মোতাবেক জনবল নিয়োগে আইনগত বাধা না থাকা সত্বেও ১৮ বছর থেকে রেলওয়ে প্রায় ৪৬ভাগ ঘার্তি জনবল দিয়ে খুড়ে খুড়ে চলা নিরাপত্তাবাহিনীতে নিয়োগ ও পদোন্নতি বন্ধ রয়েছে। নিয়োগ ও পদোন্নতি হওয়া জরুরি। দেশের অন্যান্য বাহিনীর তুলনায় কর্তৃপক্ষের বিমাতা সুলভ আচরণের শিকার অবহেলিত নিরাপত্তা বাহিনীর মাঝপথে ঝুলে থাকা ঝুঁকিভাতা ও রেশনিক চাল হওয়া জরুরি উল্লেখ করে ঈশ্বরদী উপজেলা প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে সভাপতি তৌহিদ আক্তার পান্না ও রেল শ্রমিক দলের সভাপতি সোহেল রানা নির্দিষ্ট কিছু ট্রেনের স্টপেজসহ ঈশ্বরদী ও পাকশী এলাকার রাস্তাঘাটের উন্নয়নসহ ২৮ টি দাবি সম্বলিত স্মারক লিপি প্রদান করেন। বিভিন্ন দাবি নিয়ে রেল শ্রমিক দলের পক্ষ থেকেও পৃথক একটি স্মারক লিপি প্রদান করা হয়। এর আগে প্রধান অতিথি পাকশী বিভাগীয় কন্ট্রোল অফিস ও নৌকাযোগে হার্ডিঞ্জব্রীজ এলাকা পরিদর্শন করে বিভিন্ন সমস্যা ও সম্ভাবনা পর্যবেক্ষণ করেন।#
Leave a Reply