পাবনা জেলা বিএনপির আহবায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব সমর্থিত বিএনপির দু’গ্রুপের মারপিট,বিক্ষোভ মিছিল,আহত-৯ ,পশুহাট পন্ড
এএ আজাদ হান্নান,ঈশ্বরদী ॥ বুধবার দুপুরে পাবনা জেলা বিএনপির আহবায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব সমর্থিত বিএনপির দু’গ্রুপের মধ্যে ঝাড়–-বেলচা কেনা নিয়ে দ্বন্দ্ব,উজ্জল নামক এক গেঞ্জি দোকানদারকে হাট থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ায় আওতা পাড়া বাজার কমিটির সভাপতি আব্দুর রাজ্জাককে ধাক্কা মারার ঘটনাকে কে কেন্দ্র করে মারপিট,ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় মারপিট,ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় অন্তত:১০ জন আহত হয়েছে। আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এসব ঘটনায় পশুহাট বন্ধ বন্ধ হয়ে যায়। সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
ঈশ্বরদী থানা পুলিশ ,প্রত্যক্ষদর্শীসহ আওতা পাড়া এলাকার একাধিক ব্যক্তি নাম না প্রকাশ করার শর্তে জানান,ঈশ্বরদীর সাহাপুর ইউনিয়নের আওতাপাড়াস্থ বৃহৎ পশু হাটের আভ্যন্তরীন স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়সহ নানা কারণে হাবিবুর রহমান হাবিব সমর্থিত বিএনপিনেতা সান্টু মেম্বর গ্রুপ ও হাবিব গ্রুপের সাহাপুর ইউনয়ন কৃষকদলের সভাপতি বিএনপিনেতা মক্কেল মৃধা(কসাই) গ্রুপের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এ অবস্থায় গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে বাঁশেরবাদা ব্রীজের নিকট বিএনপিনেতা সান্টু মেম্বরের ছেলে সুইট মক্কেল মৃধার চাচাত ভাইয়ের ছেলেকে মারপিট করে। এরপর মক্কেল মৃধা গ্রুপের লোককজন বাশের বাদায় গিয়ে বিএনপিনেতা সান্টু মেম্বরকে মারপিট করে। এঘটনার পর সান্টু মেম্বরের নেতৃত্বে তাৎক্ষণিকভাবে এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করে বিএনপিনেতা মক্কেল মৃধা গ্রুপের জড়িতদের শাস্তি দাবি করা হয়। এসব ঘটনা নিয়ে এলাকায় চলমান উত্তেজনার মধ্যেই আজ বুধবার দুপুরে মক্কেল মৃধার লোকজন আওতাপাড়া হাটের গেঞ্জি ব্যবসায়ী উজ্জলকে দোকান থেকে তুলে বকাজার ঈদগাহ পর্যন্ত নিয়ে যায়। বিষয়টি বুঝতে পেরে আওতা পাড়া বাজার কমিটির সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক তাদের বাধা দেয়। এসময় তারা সভাপতি আবক্দুর রাজ্জাককে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এসময় হাটে উপস্থিত লোকজন প্রতিবাদী হয়ে গেঞ্জি ব্যবসায়ী উজ্জলকে উদ্ধার করে বাশের বাদার লোকজনের কাছে হস্তান্তর করে। এঘটনার পর সান্টু মেম্বর ও মক্কেল মৃধা বাহিনীর মধ্যে বেধরক মারপিট শুরু হয়। এঘটনায় উভয়গ্রুপের অন্তত: ৮/৯ জন আহত হয়। এদের মধ্যে কাউকে কাউকে স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। অবস্থা বেগতিক বুঝে হাটের লোকজন দিকবিদিক ছুটাছুটি করে পালিয়ে যায়। এক পর্যায়ে পরিস্থিতি বেগতিক দেখে হাট মালিক জাকির হোসেনসহ উভয়গ্রুপের লোকজন পালিয়ে যায়। এদিকে দুই গ্রুপের মধ্যে সৃষ্ঠ অপ্রীতিকর ঘটনা চলাকালে পাবনা-পাকশী রোডের হাট এলাকায় প্রায় ত্রিশ মিনিট যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে বিএনপি নেতা সান্টু মেম্বরের নেতৃত্বে আওতাপাড়া পশু হাট এলাকায় বিশাল প্রতিবাদ বিক্ষোভ মিছিল বের করে‘‘সন্ত্রাসীদের কালো হাট ভেঙ্গে দাও,সন্ত্রাসী কাজ করিস না,চাঁদাবাজি করিসনা,মাস্তানি আর করিসনা,পিঠের চামড়া থাকবেনা।ধরধর চরি ধর,ছরি ধরে জবাই কর ইত্যকার শ্লোগান দেয়া হয়।
সংবাদ পেয়ে ঈশ্বরদী থানা পুিলশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঈশ্বরদী থানার ওসি আ.স,ম,আব্দুর নুর জানান,মঙ্গলবার বাশের বাদার একটি দোকানে বেলচা কেনাকে কেন্দ্র করে সান্টু মেম্বর গ্রুপের সাথে মক্কেল মৃধা গ্রুপের সংঘর্ষের সূত্রপাত হলে বুধবার আবারও আওতাপাড়া পশুহাটে দুগ্রুপের মধ্যে প্রীতিকর ঘটনার সূত্রপাত হয়।পুলিশ পরিস্থিতি শান্ত করেছে।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও পাবনা জেলা বিএনপির আহবায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব জানান, মক্কেল মৃধা ও সান্টু মেম্বর আমার দলের স্থানীয় নেতা। আওতাপাড়া হাটে মক্কেল মৃধা ও সান্টু মেম্বরের মধ্যে যে ঘটনা ঘটেছে সেটি দলীয় কোন বিষয় না। ছেলেদের মধ্যে স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে যা ঘটেছে সব ঠিক হয়ে যাবে।#
ক্যাপশন ॥ আওতাপাড়া হাট এলাকায় সান্টু মেম্বরের নেতৃত্বে মক্কেল মৃধা গ্রুপের বিরুদ্ধে লাঠিসোঠা নিয়ে বের করা সন্ত্রাস বিরোধী বিক্ষোভ মিছিলের একাংশ।
Leave a Reply