1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : akter.panna.1 :
  3. [email protected] : Ashraful Abedin : Ashraful Abedin
  4. [email protected] : masud :
মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:২৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
ঈশ্বরদীতে যুবদলের গোলটেবিল বৈঠকে বিএনপিকে দ্বিধামুক্ত করার অঙ্গিকার ব্যক্ত যুবদল নেতাদের ঈশ্বরদীর পাকশী ও দাশুড়িয়ায় তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়ন ও ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত কল্পে সিদ্ধান্ত গ্রহণ-লিফলেট বিতরণ পাকশী রেলওয়ে প্রকৌশলী বিভাগের প্রেসবিজ্ঞপ্তি ঝুঁকিপূর্ণ না হওয়ায় পুরাতন যমুনা রেলসেতু লাইনের ব্যালাস্ট পাথর ব্যবহার করে আর্থিক সাশ্রয় পাকশী বিভাগে ঈশ্বরদীতে যুবদলের নেতৃত্বে দ্বিধাবিভক্ত বিএনপিকে একত্রে করার সিদ্ধান্ত চাটমোহর থানার অফিসার ইনচার্জ মঞ্জুরুল আলমকে জেলার শ্রেষ্ঠ অফিসার নির্বাচিত করে ক্রেস্ট প্রদান ঈশ্বরদীতে জাতীয় কন্যাশিশু দিবস পালিত ঈশ্বরদীর কালিকাপুরে ট্রেনে কেটে ইমরান নিহত  ঈশ্বরদী-আটঘরিয়ায় শারদীয় দুর্গাপূজা মন্দির পরিদর্শন ও কুশল বিনিময় বিএনপি ও জামায়াত নেতৃবৃন্দের পাবনা জেলা বিএনপির আহবায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব সমর্থিত বিএনপির দু’গ্রুপের মারপিট,বিক্ষোভ মিছিল,আহত-৯ ,পশুহাট পন্ড

সরকারকে বিপদগ্রস্ত করতে হার্ডিঞ্জ ব্রিজ ধ্বংসের পায়তারা তৎপর কুচক্রী মহল

  • প্রকাশিত : বৃহস্পতিবার, ১৫ জুন, ২০২৩
  • ৯৬৬ বার দেখা হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার,ঈশ্বরদী।। পাকশী পদ্মানদীর হার্ডিঞ্জ ব্রীজের নীচে ঈশ্বরদী উপজেলা পরিষদের পক্ষে উপজেলা প্রকৌশলী দপ্তরের তত্ত্বাবধানে এইচবিবি রাস্তা ও যাত্রী
ছাউনি নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়েছে পাকশী রেলওয়ে
কর্তৃপক্ষ। পাবনা জেলা প্রশাসকের ঘাট উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় এই নির্মাণ কাজ চলছিল। রেলকর্তৃপক্ষের কোন প্রকার অনুমতি ছাড়াই দেশের জাতীয় কেপিআইভুক্ত সম্পদ হার্ডিঞ্জব্রীজের নীচে গত চারদিন থেকে এই নির্মাণ কাজ চলমান থাকায় বৃহস্পতিবার সকালে পাকশী রেলওয়ে বিভাগেীয় ব্যবস্থাপক শাহ সুফি নূর মোহাম্মদের নেতৃত্বে ঐ নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়।

একই সাথে ব্রীজের নীচের সকল অবৈধ দোকান পাঠও উচ্ছেদের জন্য বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়। আবার ঐএলাকায় সাধারণের চলাচল বন্ধের জন্য রেলপুঁতে রাস্তা ঘিরে দেওয়াও হয়েছে। ব্রীজের নীচে রাস্তা ও ছাউনি নির্র্মাণ,উচ্ছেদসহ বিভিন্ন বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে পাকশী বিভাগীয় ব্যবস্থাপক শাহ সুফি নূর মোহাম্মদ সাংবাদিকদের জানান, হার্ডিঞ্জব্রীজ দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার ঐতিহ্যবাহী জাতীয় স্থাপনা।আমাদের রেল বিভাগের নিবিড় রক্ষনাবেক্ষণের কারণে এটি এখনও সচল আছে। কে বা কারা রাতের আঁধারে না জানিয়ে রাষ্ট্র্রীয়
নিরাপত্তার চিন্তা না করে নিজেদের সার্থে উদর পুর্তির জন্য হার্ডিঞ্জব্রীজের নীচে পাকা রাস্তা নির্মাণ করছে। যারা এই আইনবিরোধী অপকর্মটি করেছে তাদের বিরুদ্ধে যদি একনই দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ কা না হয় তাহলে এই জাতীয় স্থাপনাটি রক্ষাকরা কঠিন হয়ে পড়বে। এই ধরনের কেপিআই ভুক্ত জাতীয় ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ ক্ষতি করে যারা নিজেদের আখের গোছাতে চাই তাদের বিরুদ্ধে যাতে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় সে জন্য আমরা
প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব। তিনি বলেন, ব্যীজের
নীচে রাস্তা হলে গাড়ি চলাচল করবে। এত ভূকম্পন সৃষ্টি
হয়ে ব্রীজটি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। পাশাপাশি প্রতি বছরের ন্যায় বর্ষা মৌসুমে ব্রীজের নীচে পানিতে তলিয়ে রাস্তাটিও ডুবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এতে সরকারী অর্থও অপচয় হবে। তিনি এই রাস্তা নির্মাণে সরকারী অর্থ অপচয়কারীদের উপযুক্ত শাস্তিরও দাবি জানান। পাকশী বিভাগীয় সাবেক সেতু প্রকৌশলী এবং পাকশী বিভাগীয় প্রকৌশলী দুই বীরবল মন্ডল জানান,ব্রীজের বয়স একশ বছরেরও বেশী হয়েছে।
রেলকর্তৃপক্ষের নিড়ি পরিচর্যার কারণেই এই ব্রীজটির
বয়স একশ বছরের অধিক হওয়ার পরও সুষ্ঠভাবে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রাখা সম্ভব হয়েছে।আরও অধিক বছর এই ব্রীজটি ব্যবহারে সক্ষম থাকবে বলে আশা করছি। তিনি বলেন,হার্ডিঞ্জব্রীজ দিয়েই পদ্মার ওপারের সকল জেলার সাথে রেল চলাচল সংযুক্ত আছে।এই ব্রীজটি যদি ধ্বংস হয়ে যায় তাহলের দেশের সকল রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়বে। এতে
বর্তমান সরকারও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই বর্তমান সরকারকে ক্ষতিগ্রস্ত করার অশুভ উদ্দেশ্যেই ঐ শক্তিশালী কুচক্রী মহলটি হার্ডিঞ্জব্রীজকে ধ্বংস করার জন্যই উঠেপড়ে লেগেছে। তিনি আরও বলেন,শশ কোটি টাকা ব্যয় করে এক থেকে দুই কিলোমিটার দীর্ঘ গাইড বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে শুধুমাত্র হার্ডিঞ্জব্রীজকে রক্ষা করার জন্য। কুচক্রী মহলটি সুক্ষভাবে ব্রীজটিকে ধ্বংস করার চেষ্টা করছে। গাইড বাঁধ কেটে কেটে পকেট রাস্তা তৈরী করে অবৈধ বালুর ট্রাক পারাপার করা হচ্ছে। এতে বড় বন্যা হলেই গাইডবাঁধ ভেঙ্গে হার্ডিঞ্জব্রীজ ,লালনশাহ ব্রীজ এমনকি নিকটস্থ রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিও ক্ষতি গ্রস্ত হতে পারে। বীরবল মন্ডল ব্রীজের নীচের বালির পাহাড় দেখিয়ে আরও বলেন,ঐমহলটি সরকারকে বিপদে ফেলাতে চেষ্টা করছে।

বিশেষ স্বার্থ জড়িত থাকায় তারা এই কাজটি করতে পারছে। হার্ডিঞ্জব্রীজ ধ্বংসের জন্য যারা বালু মহল করেছে এবং রাস্তা নির্মাণ করছে তাদের বিরুদ্ধে যদি ইমিডিয়েট ব্যবস্থা না নেওয়া হয় তাহলে দেশের এই ঐতিহ্যকে রক্ষা করা যাবেনা। তিনি এই এহ্যিকে ধ্বংসের পরিকল্পনা কারীদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলনে যাওয়ার কথা উল্লেখ করে বলেন, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। পাকশী বিভাগীয় উপসহকারী প্রকৌশলী মিনহাজ আকন্দ অভিযোগ করে বলেন,হার্ডিঞ্জ ব্রীজকে ধ্বংস করার জন্য গত চারদিন যাবত ব্রীজের নীচে পাকা রাস্তা নির্মাণ করা হচ্ছে যা কোন ভাবেই মেনে নেওয়া
যায়না। রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ শক্তি খাটিয়ে জমি প্লট আকারে বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা অবৈধভাবে আয় করছে একটি মহল। অভিযোগকারী রেল কর্মকর্তারা আরও বলেন,কেপিআই ভুক্ত স্থাপনা হওয়ায় ব্রীজের উভয় পাড়ে পুলিশ ফাঁড়ি রয়েছে যাদের দায়িত্বে অবহেলা স্পষ্ট হওয়ায় তাদের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলা হয়েছে। তারাও পুলিশের দায়িত্বে অবহেলার বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখার পর ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানান।
ঈশ্বরদী উপজেলা প্রকৌশলী জানান,জেলাপ্রশাসকের ঘাট উন্নয়ন ফান্ডের অর্থায়নে রাস্তার ও যাত্রী ছাউনি নির্মাণ কাজ চলছিল। রেলকর্তৃপক্ষ বাধা দেওয়ায় আমরা
কাজ বন্ধ করে দিয়েছি।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ

সাম্প্রতিক সংবাদ

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায় সিসা হোস্ট