স্টাফ রিপোর্টার ॥ ভারত থেকে পদ্মানদী হয়ে এবং বিভিন্ন সড়কপথে বাঘা,চারঘাট,লালপুর,আরামবাড়িয়া এবং ভেড়ামারা,পোড়াদহ,মিরপুর ও কুষ্টিয়া অঞ্চল থেকে প্রতিনিয়ত ইয়াবাসহ নানা প্রকার নিসিদ্ধ পণ্য আমদানী করা হচ্ছে।পদ্মানদীর বাঘা চারঘাট,লালপুর এলাকা থেকে শুরু করে ঈশ্বরদীর সীমান্তবর্তী সাঁড়া ইউনিয়নের পদ্মানদীর আরামবাড়ীয়া ঘাট,সাঁড়া ঘাট পাকশী পন্টুনঘাট ও পাকশী ঘাট এলাকা দিয়ে ঐসব নিসিদ্ধ পণ্য আমদানী করা হয়। এ কারণে আরামবাড়িয়া,পাকশী,লোকোসেড,ঈশ্বরদী বাইপাস স্টেশন এলাকা,কলেজ রোডের লতিফের ধানখোলা ও আমবাগান এলাকা,চাঁনমারী মোড় এলাকা,পাকশী হঠাৎ পাড়া এলাকা,রুপপুর এলাকা,আওতাপাড়া বাঁশের বাধা এলাকা, সলিমপুরের বিভিন্ন স্থান, লক্ষিকুন্ডার বিভিন্ন চিহ্নিত স্থান,দাশুড়িয়া স্টেশন এলাকা,কালিকাপুর বাজার এলাকা,মুলাডুলি রেল স্টেশন ও বাজারের নিকটস্থ এলাকা,নতুনহাট এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ। ঐসব এলাকার যুব সম্প্রদায় প্রায় ধংসের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন এলাকার ভুক্তভোগী অভিভাবক এবং মাদক সেবনকারী ও মাদক ব্যবসায়ীদের একাধিক সূত্র থেকে এসব তথ্য জানাগেছে।সূত্রমতে,দীর্ঘদিন থেকে একাধিক সিন্ডিকেডের মাধ্যমে নদী পথে নৌকা এবং সড়কপথে হোন্ডা,প্রাইভেটকার,ওষুধ কোম্পানীসহ বিভিন্ন কোম্পানীর মালবাহী গাড়ীতে এসব মাদকদ্রব্য আমদানী করা হয়। আমদানী করার পর এসব পণ্য স্ব স্ব এলাকার চাহিদা অনুযায়ী বিক্রির পর ঈশ্বরদী হয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তবে বিভিন্ন যাত্রীবাহী কোচ ও যানবাহনে করে ছদ্মবেশে অনেকেই সরাসরি লালনশাহ সেতু হয়ে এবং রেলগেট,ওয়ালিয়া,ঈশ্বরদী বাইপাস, বগামিয়া রোড ও মাজগ্রাম হয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাচার করছে।সূত্রমতে,সিন্ডিকেড সদস্যদের মধ্যে একাধিক নারী সদস্যও রয়েছে। ঐসব নারী সদস্যরা প্রকাশ্যে সমাজের বিভিন্ন স্তরে সাজগোজ করে চলাচল করে। আবার তারা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সীল ও পরিচয় ব্যবহার করে থাকে যাতে তাদেরকে কেউ সন্দেহ করতে না পারে। কোন কোন ক্ষেত্রে তাদের দু’একজনকে বিভিন্ন সেক্টরে নেতৃত্বও দিতে দেখা যায়। দীর্ঘদিন ধরে এসব ব্যবসা করায় তাদের অনেকেই আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে গেছে। সমাজের বিভিন্নস্তরে তাদের বেপরোয়া ও রাজকীয় চলাচলে ঈশ্বরদীর মানুষ অতিষ্ঠ। ঈশ্বরদী থানা পুলিশ ও মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সদস্যরা মাঝে মধ্যেই বিভিন্ন প্রকার মাদকদ্রব্যসহ আটক করতে পারলেও পুরোপুরি সফল হচ্ছেনা। ঐসব মাদক ব্যবসায়ীরা এতই চতুর ও কৌশলী যে,ঈশ্বরদী থানা পুলিশ ও মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সদস্যরা মাঝে মধ্যেই বিভিন্ন প্রকার মাদকদ্রব্যসহ ব্যবসায়ীদের আটক করতে সক্ষম হয়। ঐসব মাদক ব্যবসায়ীরা এতই চতুর ও কৌশলী যে, মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কম সংখ্যক সদস্যরা সব অভিযানে সফল হতে পারেনা। তাছাড়া মাদক দ্রব্য অধিদপ্তরের সদস্য সংখ্যা কম থাকা এবং বেশী এলাকার দায়িত্বে থাকায় তাদের জন্য মাদক আমদানী ও বিক্রি বন্ধে পুরোপুরি সফলতা অর্জন করা কঠিন বলে অনেকেই মন্তব্য করেন। সুস্থ্য সমাজ সমাজ গঠন এবং যুব সম্প্রদায়কে ধবংসের হাত থেকে রক্ষায় কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ গ্রহন করবেন বলে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা বিশ্বাস করে।
Leave a Reply