বিনোদন প্রতিবেদক : প্রাক্তন কি বন্ধু হতে পারে ? এই প্রশ্ন নিয়ে আলোচনা অন্তহীন। কিন্তু হালে কলকাতার অনেক তারকাই দেখিয়েছেন, আলাদা – আলাদা থেকেও পরস্পরের ভালো চাওয়া চায়। এবার সেই পথে হাঁটলেন আরও একজন। প্রাক্তন প্রেমিকা অভিনেত্রী সোহিনীকে নতুন জীবনের শুভকামনা জানালেন অভিনেতা রণজয়। একটা সময় সোহিনী – রণজয়ের প্রেমের ঘনিষ্ঠতা নিয়ে কম আলোচনা হয়নি। তারা সহবাস সম্পর্কেও ছিলেন। কিন্তু হঠাৎ করেই এই জুটির প্রেমের ছন্দপতন। রণজয়ের সঙ্গে ব্রেকআপের পর এখন শোভনের হাত ধরেছেন সোহিনী।
অন্যদিকে রণজয়ের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কাটাছেঁড়া জারি রয়েছে। মাস কয়েক আগে পর্যন্ত ‘গুড্ডি’ সিরিয়ালের সহশিল্পী শ্যামৌপ্তি মুদলির সঙ্গে রণজয়ের নাম জড়িয়েছিল। এবার তার নাম জড়িয়েছে ‘কোন গোপনে মন ভেসেছে’র সহঅভিনেত্রী মিশমির সঙ্গে।
কলকাতার গণমাধ্যম থেকে জানা যায়, প্রেমচর্চায় সাম্প্রতিক সময়ে নাকি রণজয় ক্লান্ত। এক গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই অভিনেতা বলেন, সোহিনী নতুন সম্পর্কে আছে, আমি একা। তাই আমায় নিয়ে গল্প। …কোনওদিন লুকিয়ে কিছু করিনি। সম্পর্ক হলে নিজেই বলবো। ২০১৩ থেকে সোহিনীর সঙ্গে বন্ধুত্ব। ২০১৯ এ আমাদের সম্পর্ক শুরু। সোহিনীকে সত্যি ভালবাসি। মন থেকে চাই, শোভনের সঙ্গে ভাল থাকুক।
সোহিনীর সঙ্গে পুরোনো প্রেমের স্মৃতি রোমন্থন করে রণজয় বলেন, দার্জিলিংয়ে অদ্ভুতভাবে সম্পর্কটা শুরু হয়েছিল। দু’বছর পর একই জায়গায় আবার আমাদের দেখা হয়েছিল। অনেক মুহূর্ত তৈরি হয়েছিল। তবে প্রথম দেখার প্রেমে বিশ্বাসী নন রণজয়। প্রথম দেখায় ভালো লাগা তৈরি হতে পারে, কিন্তু ভালোবাসা নয়, দাবি অভিনেতার। বললেন, লাভ অ্যাট ফার্স্ট সাইট’ বলে কিছু হয় না। এগুলো এক ধরনের বিলাসিতা। ভালবাসা জীবনের একটা বড় অধ্যায়। প্রথম দেখায় কাউকে ভাল লাগতে পারে। দায়িত্ব, পাশে থাকা, অনেক পরিস্থিতি একসঙ্গে কাটালে ভালবাসা হয়। খুব গভীর সম্পর্ক, যেখানে কখনও ভাঙন আসবে না। ‘আই লাভ ইউ’ বললেই ভালবাসা হয়ে যায় না।
জানা যায়, সোহিনীর সঙ্গে সম্পর্কে থাকলেও, আজ পর্যন্ত নাকি কাউকেই প্রোপোজ করেননি রণজয়। আজীবন তার সঙ্গেই কাটাবেন এখনও এমন মানুষ খুঁজে পাননি শ্বেতার নায়ক। প্রসঙ্গত, সোহিনীর আগে ইমন চক্রবর্তী ও স্বস্তিকা দত্ত’র সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন শোভন। ইমনের সঙ্গে শোভনের বন্ধুত্ব আজও অটুট, তবে স্বস্তিকার সঙ্গে মুখ দেখাদেখি বন্ধ!
নায়ক – নায়িকাদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আলোচনা হওয়াটাই স্বাভাবিক – এটা বিশ্বাস করেন রণজয়। সহশিল্পী শ্যামৌপ্তির সঙ্গে প্রেমচর্চা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে অভিনেতা জানান, ভারতবর্ষে সিনেমা করলে বা সিরিয়াল করলে হিরো – হিরোইনদের নিয়ে আলোচনা হওয়াটাই স্বভাবিক। সেখানেই তারা সফল। হয়তো তারা মন দিয়ে কাজটা করেছে। প্রোজেক্ট শেষ হওয়ার পরেও লোকজন যদি এমনভাবে তাহলে হয়ত কোথাও গিয়ে আমরা মন দিয়ে কাজটা করতে পেরেছিলাম। তাহলে রণজয় কি এখন সিঙ্গল ? প্রশ্ন শুনে মুচকি জবাব, আমি তো অনেক দিন ধরেই সিঙ্গল।
Leave a Reply