1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : Ashraful Abedin : Ashraful Abedin
  3. [email protected] : masud :
বুধবার, ৩১ মে ২০২৩, ১২:৪৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ পাকশী রেলওয়ে চন্দ্রপ্রভা বিদ্যাপীঠের শতবর্ষ উদযাপনের সিদ্ধান্ত গ্রহন এশিয়ার লৌহ মানবী শেখ হাসিনা-ব্রিটিশ সাময়িকী দ্য ইকোনমিস্ট স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সাংবাদিকদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ-মিন্টু প্রকাশিত প্রতিবাদের বিপক্ষে বিবৃতি ঈশ্বরদীতে বজ্রপাতে বাথান মালিকসহ পনেরো পশু নিহত ঈশ্বরদীতে ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালিত রাষ্ট্রপতির আগমন ও প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত “স্মার্ট বাংলাদেশ” ঘিরে ঈশ্বরদীতে পৃথক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ঈশ্বরদীতে শেখ হাসিনা ফ্রি-চিকিৎসা ক্যাম্পের উদ্বোধন বিএসএমএমইউ এর শিশু নিউরোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান হলেন ডা, কানিজ ফাতেমা

করোনায় মৃত স্বামীর লাশের পাশে সারারাত কাটালেন স্ত্রী একা

  • প্রকাশিত : সোমবার, ৫ জুলাই, ২০২১
  • ৫৩২ বার দেখা হয়েছে

কুষ্টিয়া সংবাদদাতা।। কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া স্বামীর লাশের পাশে সারা রাত শ্মশানে কাটিয়েছেন মৃতের স্ত্রী কল্পনা রানী কর্মকার নামে এক বৃদ্ধা।

মৃতের লাশ সৎকার করার জন্য শ্মশান কমিটি কিংবা আত্মীয়-স্বজন কেউ এগিয়ে আসেননি।

রবিবার (৪ জুলাই) দুপুরে সুলতানপুর গ্রামের কয়েকজন মুসলিম যুবকের সহায়তায় শ্মশানের পাশে লাশ সমাহিত করা হয়। মিরপুর উপজেলার পৌর শ্মশানে এই ঘটনা ঘটে।

এলাকাবাসী জানায়, শনিবার (০৩ জুলাই) রাতে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের হরিতলা এলাকার প্রফুল্ল কর্মকারের (৭০) মৃত্যু হয়। রাতেই অ্যাম্বুলেন্সে করে মিরপুর পৌর শ্মশানে তার লাশ নিয়ে যান স্ত্রী কল্পনা কর্মকার। মৃত ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত হওয়ায় শ্মশানে আসেননি শ্মশানের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা। লাশ সৎকারে  এগিয়ে আসেননি তাঁর আত্মিয় স্বজনরাও।

সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিষয়টি জানালে স্থানীয় মুসলিম যুবকদের সহায়তায় শ্মশানের পাশে লাশ সমাহিত করা হয়।

কাউন্সিলর আরও বলেন, প্রফুল্ল কর্মকার এক সপ্তাহ ধরে মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

শ্মশান কমিটির সভাপতি আনন্দ দেবনাথ বলেন, শনিবার রাত ২টার দিকে প্রফুল্ল কর্মকারের বড় ছেলে আনন্দ কুমার তার বাবার মৃৃত্যুর সংবাদ দেয়। পরে আমি শ্মশানের চাবি দিই। কিন্তু লাশ সৎকারের জন্য আমাদের সহযোগিতা চাননি পরিবারের সদস্যরা।

তিনি আরও বলেন, হিন্দু ধর্মের কেউ মারা গেলে ওই গোত্রের লোকদের জানানোর নিয়ম রয়েছে। এখানে সেই নিয়ম মানা হয়নি। এমনকি লাশ সমাহিত করার সময় তার সন্তানরাও ছিল না।

মিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লিংকন বিশ্বাস বলেন, বিষয়টি জানার পর পৌর মেয়র ও স্থানীয় কাউন্সিলরকে জানিয়েছি। তারা স্থানীয় মুসলিম যুবকদের নিয়ে লাশ সমাহিত করেছেন।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ

সাম্প্রতিক সংবাদ

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায় সিসা হোস্ট