স্টাফ রিপোর্টার, ঈশ্বরদী: ঈশ্বরদীর পাকশী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তাফিজুর রহমান সেলিম হত্যার বিচার দাবীতে ঈশ্বরদীতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে মুক্তিযোদ্ধারা।
রবিবার সকালে ‘ঈশ্বরদী উপজেলার সর্বস্তরের মুক্তিযোদ্ধা জনতা’র ব্যানারে এই মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ঈশ্বরদী মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা চান্না মন্ডলের সভাপতিত্বে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন, ঈশ্বরদী অঞ্চলের মুজিব বাহিনীর কমান্ডার ও সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব নুরুজ্জামান বিশ্বাস।
পাকশী ইউনিয়ন আ’লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোঃ রেজাউল করিম রাজা’র সঞ্চালনায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য দেন, ঈশ্বরদী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ রশিদুল্লাহ্, বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম মিন্টু, পাকশী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বাবু মন্ডল, সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য শফিউল আলম বিশ্বাস, সমাজ সেবক রেজাউল ইসলাম মহিদুল, জাসদ নেতা জাহাঙ্গীর আলম, ঈশ্বরদী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের আহবায়ক মাসুদ রানা ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড ঈশ্বরদী শাখার সভাপতি আব্দুর রহমান মিলন প্রমূখ।
বক্তরা দীর্ঘ ৫ বছরেও চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত প্রকৃত আসামী গ্রেফতার এবং রহস্য উৎঘাটন না হওয়ায় চরম ক্ষোভ প্রকাশ করে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য দেন। তারা অভিযোগ করেন, লোমহর্ষক এই হত্যান্ডের মুল হোতারা এখন প্রকাশ্যেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পুলিশের পক্ষ থেকেও তেমন কোন অগ্রগতিও লক্ষ্য করা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন, নিহত মোস্তাফিজুর রহমান সেলিমের একমাত্র সন্তান তানভির রহমান তন্ময়। অবৈধ টাকার পাহাড়ে বসবাসকারী প্রভাবশালী চতুর এক ব্যক্তির ক্ষমতা ও টাকার কাছে হত্যার পরপরই মামলাটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বর্তমানে মামলাটি পাবনা পিবিআই তদন্ত করছে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি রাত ৯ টায় পাকশীর ঐতিহাসিক রূপপুর বিবিসি বাজার সংলগ্ন নিজ বাড়িতে ঢোকার সময় অন্ধকারে পূর্ব থেকে ওঁৎ পেতে থাকা দূর্বৃত্তরা পাকশী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তাফিজুর রহমান সেলিমকে লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি করে।
সে সময় তার শরীরে একাধিক গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে এলাকাবাসী ও পরিবারের লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নিয়ে আসার পর অবস্থার অবনতি হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে রাত ১০টা ২০ মিনিটে শহরের পোষ্ট অফিস মোড় অতিক্রম কালে তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।
Leave a Reply