তৌহিদ আক্তার পান্না,ঈশ্বরদী ।। চলতি আমন মৌসুমে বাম্পার ফলনের পর ঈশ্বরদীতে ধান কাটা- ও মাড়াইয়ের ধুম পড়েছে। এসব আমন ধান কেটে জায়গা খালি করা হচ্ছে তিল, মটর, মসুর, খেসারি, কালাই, সরিষাসহ বিভিন্ন ফসল চাষের জন্য । বাম্পার ফলন ও ম‚ল্য বেশী থাকায়
চাষীরা এবার খুশিতে দিন পার করছেন। ধান কাটা মজুররাও তাদের প্রাপ্য মজুর পেয়ে খুশিতে এসব ধানকাটা ও মাড়াই কাজে সঠিকভাবে অংশ নিতে পারায় তাদের পরিবারেও স্বস্তিকর অবস্থা বিরাজ করছে। ঈশ্বরদী এলাকার বিভিন্ন কৃষক,ধান কাটা শ্রমিক ও কৃষি অফিস সূত্রে এসব তথ্য জানাগেছে। সূত্রমতে, চলতি মৌসুমে ঈশ্বরদীতে এবার রোপা আমন ধানের আবাদ হয়েছে মোট ৩৬১৫ হেক্টর জমিতে । ইতিমধ্যে ঈশ্বরদীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, শীতকালীন ফসল সরিষার চাষও শুরু হয়েছে। পাশাপাশি ঈশ্বরদীর বিভিন্ন এলাকায় খেসারি, কালাই, তিল, মটর, মসুর, আলুসহ নানা প্রকার ফসল চাষের প্রস্তুতি নিয়েছেন কৃষকরা। চলতি আমন মৌসুমে বর্ষার পানি পর্যাপ্ত না পাওয়ায় বিপাকে পড়েছিলেন আমন চাষিরা। আবার দেখা দিয়েছিলো সার সংকট এবং হঠাৎ তেলের দাম বৃদ্ধি। সব মিলিয়ে ধান চাষে খরচ বেশি হয়েছিলো কৃষকদের। আবার ধান কাটা-মাড়াইয়ে বিঘা প্রতি খরচ হয়েছে প্রায় ২ থেকে ৩ হাজার টাকার মতো। চাষিরা জানান, যদি ধানের দাম সরকার বাড়ায় তাহলেচাষিরা লাভের মুখ দেখবেন অন্যথায় লোকসান গুনতে হবে। সোনালি রঙের ধান কেটে আঁটি বেঁধে খোলা মাঠে ফেলে রাখছেন কৃষকরা। এতে গোটা মাঠ সোনালী রংয়ের চাদরে আবৃত হয়ে আছে। ধান কাটা এবং মাঠ থেকে ধান তোলার সাথে সরিষা চাষের জন্য জমিতে ফেলা হচ্ছে সরিষা বীজ। সেলিম পুরের কৃষক সলেমান জানান এবার আমি পাঁচ বিঘা জমিতে আমন চাষ করেছি। আশানুরূপ ফলন হয়েছে। ধানের মূল্য ভালো থাকলে লাভ করতে পারব। এবং বিঘা প্রতি ১৬ থেকে ১৭ মন ধান
পাবো। মুলাডুলির কৃষক নবাব আলী বলেন, এবার ধানের ফলন ভালো হয়েছে। ইদুরের উপদ্রবটা এবার বেশী থাকার কারণে সামান্য ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি, ফলন ভালো হওয়ায় তা পুষিয়ে গেছে।
Leave a Reply