স্টাফরিপোর্টার,ঈশ্বরদী।। ঈশ্বরদীতে ট্রাফিক পুলিশের বিরুদ্ধে দায়িত্ব পালনে অবহেলা ও ট্রাকসহ বিভিন্ন গাড়ী প্রতি মাসোয়ারা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি বর্তমান সরকারের উন্নয়ন মুখি কর্মকান্ড অব্যাহত থাকায় দিন দিন ঈশ্বরদী সহ নিকটস্থ এলাকা তথা সারা দেশেই বিভিন্ন প্রকার যানবাহন বেড়ে চলেছে। ঈশ্বরদী দেশের উত্তর ও দক্ষিনাঞ্চলের প্রবেশ দ্বার হওয়ার ফলে প্রতিদিন ঈশ্বরদীর উপর দিয়ে হাজার হাজার যানবাহন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে চলাচল করে। অন্যদিকে দেশের সবচেয়ে বৃহৎ রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প, ইপিজেড, রেলসহ নানা প্রকার শিল্প কল কারখানা চালু থাকায় এখানে প্রতিদিন ছোট বড় কয়েক হাজার
যানবাহন চলাচল করে থাকে। এসব যানবাহনের মধ্যে নানা প্রকার ত্রæটিপুর্ণ যানবাহনসহ বৈধ যানবাহন থেকেও নিয়মিত মাসোয়ারা নেওয়া হচ্ছে। যে সব যানবাহন বিশ্ব রোডে চলাচল নিসিদ্ধ রয়েছে সেগুলোও মাসিক চুক্তির কারণে শহরে চলাচল করে থাকে অবাধে। এ কারণে সাম্প্রতিক সময়ে ঈশ্বরদীতে নানা প্রকার অবৈধ যানবাহনের সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে। ঈশ্বরদী ট্রাফিক অফিসের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্রের দেওয়া তথ্যমতে, কয়েকজন কর্মকর্তা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করলেও
সম্প্রতি ঈশ্বরদী ট্রাফিক অফিসে যোগদান করা একজন কর্মকর্তা দায়িত্ব পালনের চেয়ে সকল মহলের চোখকে ফাঁকি দিয়ে অফিসে বসে মাসোয়ারা সংগ্রহে ব্যস্ত থাকেন। এসব কারণে এই অফিসের স্টাফদের মধ্যেও দীর্ঘদিন থেকে অসন্তোষ দানা বেধে আছে। এমনকি ঐ
কর্মকর্তার ব্যবহারে ঈশ্বরদী থানা পুলিশের মধ্যেও অসন্তোষ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। দেশের দক্ষিন ও উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার খ্যাত ঈশ্বরদীর দাশুড়িয়াতে রয়েছে দু’টি গোল চত্বর। এই দু’টি গোল চত্বর দিয়ে
প্রতিদিন হাজার হাজার যানবাহন ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মধ্যে চলাচল করে। অথচ এই গোল চত্বরে সঠিকভাবে ট্রাফিক পুলিশকে দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়না। ফলে প্রতিদিন অসংখ্য যানবাহন উল্টো পথে চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এতে যেমন দূর্ঘটনা ঘটছে, তেমনি সাধারণ যাত্রীসহ পথচারিদেরও আতংকের মধ্যে থাকতে
হচ্ছে। প্রায় এক হাজার মিটারের ব্যবধানে রয়েছে দুটি ট্রাফিক গোল চত্বর মোড় । এর একটিতে ট্রাফিক পুলিশিং ব্যবস্থা থাকলেও অপরটিতে নেই। দাশুড়িয়া-খুলনা, দাশুড়িয়া-রাজশাহী, দাশুড়িয়া-ঢাকা, দাশুড়িয়া-পাবনা এই মহাসড়কে চলে দক্ষিণাঞ্চল ও উত্তরবঙ্গের ৩২টি
জেলার যানবাহন। তাছাড়াও রয়েছে রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে মালামাল আনা নেয়ার জন্য ভারী যানবাহন। আবার দেশের বিভিন্ন রুটের যানবাহন ও এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করে । জনবহুল এ রাস্তার দাশুড়িয়া নতুন গোলচত্বরে ট্রাফিক পুলিশ না থাকায় ড্রাইভাররা
নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে হরহামাশায় উল্টোপথে গাড়ি চালিয়ে আসছে । দেখে মনে হয় এটাই তাদের রাস্তায় চলাচলের বৈধ রীতি । উল্টোপথে গাড়ি চালানোর কারণে বিভিন্ন সময়ে ঘটছে নানা দূর্ঘটনা । ট্রাফিক পুলিশের অব্যবস্থাপনা এবং রাস্তায় গাড়ি চালকদের অসচেতনভাবে চলাচলের কারণেই নিয়ম ভঙ্গ হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষ দর্শিরা। ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করছে পথচারীররা। দাশুড়িয়ার নতুনমোড়ে দেখা যায়, অসংখ্য মোটরসাইকেল, বাস, ট্রাক, প্রাইভেট কারসহ বিভিন্ন যানবাহন নিয়ম ভঙ্গ করে উল্টোপথে চালানো হচ্ছে। দাশুড়িয়া হতে পাকশী হাইওয়ে মহাসড়কে যাতায়াতের জন্য এ রাস্তাটিতে উল্টোপথে চলাচল করাই যেন নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। সরেজমিনে দেখা যায় দিনের চেয়ে রাতেই বাস, পণ্যবাহী ট্রাক, থ্রীহুইলার, বালুবাহী ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহন উল্টোপথে পার হয় এ মোড় দিয়ে । এ রাস্তায় চলাচলরত রিকশা ও মোটরসাইকেল আরোহীসহ স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, এখানে নেই কোনো ট্রাফিক পুলিশ নেই এবং হাইওয়ে পুলিশের ও কোন তদারকী নেই । তাই নিশ্চিন্তে এ রাস্তা দিয়ে উল্টোপথে গাড়ি চালাই ড্রাইভাররা । উল্টোপথে গাড়ি চলাচলের কারণে এ সড়কে প্রায়ই মাঝে মধ্যেই দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয় । একটি দ‚র্ঘটনা বয়ে আনে সারা জীবনের কান্না । দ‚র্ঘটনারোধে আইন থাকলেও নেই তারবাস্তব প্রয়োগ। ট্রাফিক পুলিশের সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট এলাকাবাসী এবং সচেতন মহলের দাবী অতিসত্বর দাশুড়িয়া নতুন মোড়ে ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্বে উল্টোপথে যানবাহন চলাচল বন্ধের ব্যবস্থা করা ও যানবাহন প্রতি মাসোয়ারা নেওয়া বন্ধ করবেন
Leave a Reply