1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : akter.panna.1 :
  3. [email protected] : Ashraful Abedin : Ashraful Abedin
  4. [email protected] : masud :
বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০১:০২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
লোকসানি খাত বাংলাদেশ রেলওয়ে দুই টাকা নয় পয়সা খরচ করে এক টাকা আয় করে —–রেল সচিব নির্বাচনী মাঠে যাদের কোন জনসমর্থন নেই তারাই পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চায় —হাবিব বিশুদ্ধ সাংবাদিকতা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি চর্চা এবং সেবার অঙ্গীকারে ডিডিপির কবি কন্ঠে কবিতা পাঠ ও সংগীতানুষ্ঠান সুরের মেলা ৩৫১ পর্ব অনুষ্ঠিত ঈশ্বরদীতে বর্নাঢ্য আয়োজনে বিএনপির ৪৭ তম প্রতিষ্টাবার্ষিকী উদযাপিত ঈশ্বরদীতে মৎস্য সপ্তাহের উদ্বোধন পাকশীতে রেলওয়ে প্রকৌশলী বিভাগের কর্মচারী এ্যাসোসিয়েশনের বারো দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন  ঈশ্বরদীতে যুবদলের পক্ষ থেকে উপজেলা প্রকৌশলীকে ফুলের শুভেচ্ছা প্রদান শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শের সৈনিক,কেন্দ্রিয় নেতা সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম সরদারের বলিষ্ট নেতৃত্বের প্রহর গুণছেন ঈশ্বরদী-আটঘরিয়ার সচেতন  ভোটারবৃন্দ রেলওয়ের ভাবমূর্তি নষ্টে ষড়যন্ত্র ॥ রেলমন্ত্রনালয়সহ দায়িত্বশীল কর্মকর্তা-কর্মচারিদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি উত্তরবঙ্গের অন্যতম শিল্পপতি সাহাবুদ্দিন মল্লিক নান্নুর ইন্তেকাল ॥ ভিভিন্ন মহলের শোক প্রকাশ

ঈশ্বরদীতে কিছু অসচেতন মানুষ সরকারি নির্দেশনা মানছে না

  • প্রকাশিত : সোমবার, ১২ জুলাই, ২০২১
  • ১০৯৭ বার দেখা হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার,ঈশ্বরদী ॥ লকডাউনের শুরু থেকেই ঈশ্বরদী বাজারসহ বিভিন্ন এলাকার কিছু ব্যবসায়ী সরকারী নির্দেশনা মানছেন না। তারা লকডাউন চলাকালে লুকিয়ে লুকিয়ে দোকানের শাটার খুলে মালামাল বিক্রি করে আসছেন।

পুলিশ,ম্যাজিষ্ট্রেট,সেনা বাহিনী বা আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যদের দেখলে দোকানের শাটার নামিয়ে বন্ধ করা হয়। পুলিশ,ম্যাজিষ্ট্রেট,সেনা বাহিনী বা আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা চলে গেলে তারা আবার শাটার তুলে মালামাল বিক্রি শুরু করেন। এ কারণে ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পিএম ইমরুল কায়েস ও এসিল্যান্ড মমতাজ মহল আইন শৃংখলা বাহিনীর সহায়তায় শহর ও ইউনিয়ন পর্যায়ের বিভিন্ন বাজারে মোবাইল কোর্ট করে জরিমানা করলেও কোন কাজে আসছেনা। যাদের জীবন বাঁচাতে লকডাউন ঘোষনা করা হয়েছে রাষ্ট্রীয়ভাবে তাদেরই একটা বড় অংশ সরকারী নির্দেশনা মানছেননা। বরং তারাই শুরু থেকে লকডাউন ভাঙ্গার প্রতিযোগিতা করে যাচ্ছেন।

এ কারনে এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নানা শ্রেণীর লেবারদের সকল মহলে অবাধে চলাচলের কারনেই ঈশ্বরদীতে ক্রমেই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এবং মৃত্যুর মিছিল বড় হচ্ছে।

আজ রবিবার ঈশ্বরদী হাসপাতালে ১৩০ জনের পরীক্ষা করে ৩৭ জন পজিটিভ হয়েছে। অন্যদিকে নতুন হাটের ডিএমএফআরসহ একাধিক ল্যাবের টেস্টেও প্রায় ৩০/৪০ জন আক্রান্ত হতে পারে বলে স্বাস্থ্য বিভাগের একটি সূত্রসহ বিভিন্ন সূত্রের ধারনা।

রবিবার সকালে ইপিজেড গেট এলাকার ঠিকাদার সাহাঙ্গীরের স্ত্রী ঝর্ণা বেগম,শনিবার কলেজ গেটে রন্টুর মাতা ও শুক্রবার একই এলাকার নাসিম নামে এক ব্যাক্তির মৃত্যু হয়। এভাবে ঈশ্বরদীর পাড়া মহল্লায় প্রতিদিনই কেউ না কেউ মারা যাচ্ছেন।
বর্তমান এই ভয়ানক পরিস্থিতির বিষয়টি স্বাস্থ্য বিভাগ,সরকারের উন্নয়নে বিশ্বাসী দেশপ্রেমী সচেতন মহল ভাল দৃষ্টিতে দেখছেন না। মহলটির কেউ কেউ এমন মন্তব্য করে বলছেন, লকডাউন অমান্যকারীদের উপযুক্ত শাস্তি হওয়া দরকার। কিছু মানুষের জন্য ঈশ্বরদীর প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে এটা কোন সভ্য জাতি মানতে পারেনা। সরকারের চেষ্টাকেও তারা ক্ষতিগ্রস্ত করছেন। যে সমস্ত কারণে ঈশ্বরদীতে দিন দিন করোনা বেড়েই চলেছে এবং ইতি মধ্যে অন্তত:৩০ ব্যক্তির মৃত্যু হয়ে ঐসব পরিবারের সদস্যদের অপুরনীয় ক্ষতি হয়েছে তার একটি কারণ সৃষ্টি করেছেন ঐসব চোর পুলিশ খেলা ব্যবসায়ীসহ অসচেতন মানুষরা।

প্রশাসন এ ক্ষেত্রে কঠোর হলেও ব্যবসায়ীরা বলছেন, টাকা ছাড়া একদিনও চলা যায় না। তাই নানা কৌশলে তারা একটু–আধটু ব্যবসা চালানোর চেষ্টা করছেন। কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেন, অনেকটা বাধ্য হয়েই দোকান খুলছেন তাঁরা। বছরের ব্যবসা হয় দুই ঈদে। অথচ পরপর তিনটি ঈদ এভাবে চলে গেছে। এভাবে দোকানপাট বন্ধ থাকলে দোকান ভাড়া, সংসার খরচের টাকা কোথায় পাবেন তাঁরা। তাই বাধ্য হয়েই কৌশলে ব্যবসা করছেন। বাবলু নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘লকডাউনের প্রথম কয়েক দিন দোকান বন্ধ রেখেছিলাম। জমানো কিছু টাকা থেকে বাজার-সদাই করে খাওয়া-দাওয়া চলেছে পরিবারের সদস্যদের। তিন দিনের মধ্যে ঘর ভাড়া দিতে হবে। কিন্তু এভাবে বসে থাকলে কয়েক দিন পর তো না খেয়ে মরতে হবে। তাই কয়েক দিন ধরে চুপি চুপি দোকান চালাচ্ছি। কিছু কাস্টমার আসে। আসলে দরকার তো সবারই। টাকা ছাড়া এক দিনও চলা যায় না।

ঈশ্বরদীর সহকারী কমিশনার (ভূমি) মমতাজ মহল বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি মানুষকে সচেতন ও সতর্ক করতে। তারপরও সরকারের নির্দেশনা অমান্য করায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছি। উপজেলাবাসীর সহযোগিতা ছাড়া করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পিএম ইমরুল কায়েস বলেন, ‘আমরা দিনরাত কাজ করে যাচ্ছি। দোকান বন্ধ রাখতে উপজেলা প্রশাসনের অভিযান সব সময় চলমান রয়েছে। জরিমানাও করা হচ্ছে। আমরা আশা করছি, জনগণ নিজেদের স্বার্থেই স্বাস্থ্যবিধিসহ সরকারি নির্দেশনা মেনে চলবে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ

সাম্প্রতিক সংবাদ

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায় সিসা হোস্ট