স্টাফ রিপোর্টার॥ ঈশ্বরদীতে প্রতিদিনই করোনা আক্রান্ত রোগী ও মৃতের সংখ্যা আশংকাজনক হারে বেড়েই চলেছে।
সকল প্রকার প্রশাসনের কঠোর নজরদারি উপেক্ষা করে কিছু মানুষের স্বাস্থ্যবিধি না মেনে খামখেয়ালিপনা কাজ করা। করোনাকে অবহেলা করে প্রকাশ্যে মাস্ক বিহিন ঘুরে বেড়ানো এবং অনেক পজিটিভ রোগিদের বিভিন্ন দোকান পাট ও তথ্য গোপন করে মানুষের সাথে খোলামেলা চলাচল ও মেলামেশার কারনেই ঈশ্বরদীতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। একই সাথে মৃত্যুর সংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
গত এক সপ্তাহে ঈশ্বরদীতে রুপপুর পরমাণু প্রকল্পের কর্মী ও স্থানীয় মিলে অন্তত: ১৫’শ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে অন্তত: ২০ থেকে ২৫ জন। ঈশ্বরদী হাসপাতালের দায়িত্বশীল একটি সূত্রসহ ঈশ্বরদীর বিভিন্ন এলাকার দায়িত্বশীলদের দেওয়া তথ্যে এসব জানাগেছে।
সূত্রমতে, সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউন চলাকালে সকল প্রকার প্রশাসনের কঠোর নজরদারি, মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে জরিমানা আদায়, স্বল্প জনবল দিয়েও ঈশ্বরদী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অব্যাহত চেষ্টা এবং জনপ্রতিনিধিদের সাধ্যমত জনসচেতনতা অব্যাহত থাকা সত্বেও কিছু মানুষের অবহেলায় ঈশ্বরদীতে করোনা রোগির সংখ্যা ও মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে চলেছে।
এদিকে লকডাউনের সপ্তম দিন বুধবারেও ঈশ্বরদীতে সরকারী নির্দেশনা মানাতে আইন শৃংখলা বাহিনী, পুলিশ, বিজিবি ও সেনা বাহিনীকে তৎপর থাকতে দেখা গেছে। ঈশ্বরদীর বিভিন্ন স্থানে নির্বাহী মেজিস্ট্রেট মমতাজ মহলের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে। মোবাইল কোর্টে ছয় প্রতিষ্ঠানে ভোক্তা অধিকার আইন অমান্য করা, মাস্ক ব্যবহার না করাসহ নানা কারণে ৪৪’শ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
লকডাউনের অবস্থা সম্পর্কে ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার পিএম ইমরুল কায়েস সাংবাদিকদের জানান, যারা সরকারী নির্দেশনা মতে লকডাউন মানছেনা তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। মাস্ক ব্যবহার না করাসহ বিভিন্ন অপরাধ করায় এর আগেও অন্তত: ১৬ জনকে অর্থ দন্ড দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগসহ বিভিন্ন সূত্রে জানাগেছে, রুপপুর পরমাণু প্রকল্পের কর্মী ও স্থানীয় মিলে এক সপ্তাহে অন্তত: ১৫’শ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে অন্তত: ২০ থেকে ২৫ জন।
Leave a Reply