1. admin@sadhinotarkontho.com : admin :
  2. akter.panna.1@gmail.com : akter.panna.1 :
  3. mdashrafishurdi@gmail.com : Ashraful Abedin : Ashraful Abedin
  4. masud@sadhinotarkontho.com : masud :
বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ০৩:১২ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অমান্য করে কতিপয় রাজনৈতিক নেতার ছত্রছায়ায় পৃথিবীর সেরা হার্ডিঞ্জ ব্রীজ ধ্বংসের পাঁয়তারা চলছে সবকিছু ব্যক্তিগত রাখতে পছন্দ করেন সোনাক্ষী সিনহা সকলের মাঝে এসডিজি বিষয়ক সচেতনতা ছড়িয়ে দিতে হবে : স্পীকার ইসরাইলে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাস্ট্র প্রতিষ্ঠা ও গণহত্যা বন্ধের দাবিতে ঈশ্বরদীতে ছাত্রলীগের পদযাত্রা ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত ঈশ্বরদীতে বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় রোদেপোড়া মানুষের মধ্যে বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ ঈশ্বরদীতে র‍্যাবের অভিযানে অবৈধভাবে পদ্মার শাখা নদী হতে বালু উত্তোলনের সময় বালু লুটেরা চক্রের ১২ সদস্য গ্রেফতার পাকশী ও ঈশ্বরদীতে মহান মে দিবস পালিত রাজস্ব আদায়ের ফাঁকিবাজিসহ সমস্ত কাজের সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি ভুক্তভোগীদের; সরকারী খাস ভূমির মাটি কেটে সরকারী জমিতে অবৈধ ভাটায় ইট তৈরী হলেও নীরব প্রশাসন কেনিয়ায় বাঁধ ভেঙ্গে ৪২ জন নিহত : গভর্নর সাবেক স্বামীর বিয়ের খবরে চুপসে গেছেন অপু!

আজ ঐতিহাসিক পাকশী হার্ডিং ব্রিজের বর্ষপূর্তি

  • প্রকাশিত : সোমবার, ৪ মার্চ, ২০২৪
  • ৯৬ বার দেখা হয়েছে

তৌহিদ আক্তার পান্না ,ঈশ্বরদী: একদিকে অপরূপ সৌন্দর্য আর অপরদিকে যুগে যুগে আসা অনেক শাসক-শোষক ও প্রজন্মের সাক্ষী হয়ে শতবর্ষ পেরিয়ে আজও বীরদর্পে দাঁড়িয়ে আছে পৃথিবীর অন্যতম পুরাতন ও বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী হার্ডিঞ্জ ব্রিজ। ১০৯ বছর আগে বাংলাদেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া পাকশী পদ্মা নদীর বুকে তৈরি করা হয়েছিল এই ব্রিজটি। তখন পদ্মার জলরাশি আর খরস্রোতা উত্তাল ঢেউ ছিল, ছিল পদ্মা নদীর ভরা যৌবন। সেই পদ্মার যৌবন হয়তো এখন শেষ হতে চলেছে, কিন্তু চিরযৌবনা সেই হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পদ্মার বুকে এখনো কালের সাক্ষী হয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে বাংলাদেশের অমর কীর্তির মত। বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের সঙ্গে দক্ষিণাঞ্চলের অন্যতম সেতুবন্ধ তৈরি করেছে ঐতিহাসিক এই ব্রিজটি।

পাবনা জেলা আর কুষ্টিয়া জেলাকে সংযুক্তকারী রেলসেতু হলো হার্ডিঞ্জ ব্রিজ যা বাংলাদেশের দীর্ঘতম রেলসেতু। এই রেলসেতুটি ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশি হতে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলাকে সংযুক্ত করেছে।

ঐতিহাসিক হার্ডিঞ্জ ব্রিজ স্থাপনের এক বিশাল ইতিহাস রয়েছে। ১৮৮৯ সালে তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার কলকাতার সঙ্গে আসাম, ত্রিপুরাসহ উত্তরাঞ্চলের নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগব্যবস্থা স্থাপনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে এই ব্রিজ তৈরির প্রস্তাব করেছিলেন। সেই সময়ে প্রস্তাবটি কার্যকরী না হলেও তার কয়েক দশক পর ১৯০৯ সাল থেকে ব্রিজটি নির্মাণের কাজ শুরু করা হয়। এই ব্রিজ নির্মাণের সময়কাল ছিল ১৯০৯ থেকে ১৯১৫ সাল পর্যন্ত।

এটি নির্মাণে ২৪ হাজার ৪০০ শ্রমিক অক্লান্ত পরিশ্রম করেছিলেন এবং তৎকালীন হিসাব অনুযায়ী এটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছিল ৩ কোটি ৫১ লাখ ৩২ হাজার ১৬৪ ভারতীয় রুপি। তৎকালীন ব্রিটিশ প্রকৌশলী ভাইসরয় লর্ড হার্ডিঞ্জের নাম অনুসারে ব্রিজটির নামকরণ করা হয়েছিল হার্ডিঞ্জ ব্রিজ। ব্রিটিশ প্রকৌশলীরে রবার্ট উইলিয়াম গেলস পাকশীর একটি দ্বিতল বিশিষ্ট বাংলোয় বসে বসে এই ব্রিজের নকশা তৈরি করেছিলেন।

পাকশী অফিস চত্বরের নিকটে অফিসার কলোনিতে সেই বাংলোটি আরেকটি কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে । যে বাংলোটি নিয়ে দৈনিক জনকণ্ঠসহ দেশের অনেক পত্রপত্রিকায় লেখালেখি হয়েছ। হার্ডিঞ্জ ব্রিজের দৈর্ঘ্য ১ হাজার ৭৯৮ দশমিক ৩২ মিটার বা ৫ হাজার ৮৯৪ ফুট বা ১ দশমিক ৮ কিলোমিটার। এর ওপরে রয়েছে দুইটি ব্রডগেজ রেললাইন ও পায়ে হাঁটা পথ । ব্রিজের স্প্যান রয়েছে মোট ১৫টি এবং প্রতিটি স্প্যানের দৈর্ঘ্য ১২০ মিটার। ঐতিহ্যবাহী এই হার্ডিঞ্জ ব্রিজ দিয়ে ট্রেন চালু করা হয়েছিল ১৯১৫ সালের আজকের এই ৪ মার্চে।

১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনী এই ব্রিজের ওপর দিয়ে ট্যাংক, যুদ্ধসরঞ্জামসহ সৈন্যও পারাপার করত। ফলে মিত্র বাহিনীর যুদ্ধবিমান থেকে এই ব্রিজের ওপর বোমা ফেলা হয়েছিল। এতে ব্রিজের ১২ নম্বর স্প্যান ভেঙে গিয়েছিল এবং ৯ ও ১৫ নম্বর স্প্যান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল যা পরবর্তী সময়ে ব্রিটিশ সরকারের সাহায্যে মেরামত করা হয়েছিল। এরপর ১৯৭২ সালের ১২ অক্টোবর থেকে পুনরায় ব্রিজটির ওপর দিয়ে ট্রেন চলাচল শুরু হয়। গত ২০১৫ সালে ঐতিহ্যবাহী এই হার্ডিঞ্জ ব্রিজের শতবর্ষ পূরণ হয়।

শৈল্পিক কারুকার্যে খচিত বাংলাদেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক লাল রঙা এই হার্ডিঞ্জ ব্রিজ ১০৯ বছর পেরিয়ে এখনো পর্যন্ত দর্শনার্থীদের মন আকৃষ্ট ও মুগ্ধ করে চলেছে। এছাড়া এই ব্রিজটির ঠিক পাশ দিয়ে ৩০০ মিটার পুব দিয়ে ২০০৪ সালে তৈরি করা হয়েছে একটি সড়কসেতু যা কুষ্টিয়া জেলার বিখ্যাত সাধক ফকির লালন শাহের নামানুসারে “লালন শাহ সেতু” নামে পরিচিত। যা পদ্মার বুকের ঐতিহ্যবাহী হার্ডিঞ্জ ব্রিজের সঙ্গে এক অপরূপ সৌন্দর্যে মিলেমিশে রয়েছে। এখন পাকশিকে জোড়াসাঁকো এলাকা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে হিসেবেও অনেকের নিকট পরিচিতি লাভ করেছে। হার্ডিং ব্রিজের পাদদেশে গড়ে উঠেছে হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পিকনিক স্পট এন্ড কফি হাউস । এখানে পিকনিকসহ বিভিন্ন রকমের অনুষ্ঠান ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পর্যটকরা এসে ভিড় জমায় এখানে, কেউ-বা আসে নৌকা ভ্রমণের মাধ্যমে এই অপরূপ সৌন্দর্য উপলব্ধি করতে। এছাড়া প্রতি বছর বিদেশি পর্যটকদেরও আনাগোনা দেখা যায় এই স্থানে। নির্মাণের ১০৯ বছর পেরিয়ে গেলেও উপমহাদেশের ঐতিহ্যবাহী এই হার্ডিঞ্জ ব্রিজ স্বচক্ষে দেখার আগ্রহ থেকেই জোড়াসাঁকো এলাকায় আসেন।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ

সাম্প্রতিক সংবাদ

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায় সিসা হোস্ট