বিনোদন প্রতিবেদক : সোনাক্ষী সিনহা পাটনার বিহারের একজন ভারতীয় বলিউড অভিনেত্রী। তিনি ২০১০ সালে সালমান খানের বিপরীতে দাবাং নামক হিন্দি ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্র শিল্পে আত্মপ্রকাশ করেন,যেটি ২০১০ সালের বলিউডের সর্বোচ্চ ব্যবসা সফল ছবির মর্যাদা লাভ করে। সোনাক্ষী তাঁর অভিনয়ের জন্য ইতিবাচক মন্তব্য লাভ করেন; এছাড়াও শ্রেষ্ঠ নারী চরিত্রে অভিষেকের জন্য ফিল্মফেয়ার পুরস্কার লাভ করেন। সিনহার বেশকিছু ব্যবসা সফল ছবির মধ্যে রাউডি রাঠোর (২০১২) এবং দাবাং ২ (২০১২) অন্যতম। সিনহা এরপর লুটেরা (২০১৩) সিনেমায় অভিনয়ের দক্ষতার জন্য সমালোচকদের প্রশংসা পেয়েছিলেন।
অভিনেতা এবং রাজনীতিবিদ শত্রুঘ্ন সিনহা এবং পুনম সিনহা এর কন্যা সোনাক্ষী। তিনি লব সিনহা ও কুশ সিনহা দুই যমজ ভাইদের সাথে তিন সন্তানের সর্বকনিষ্ঠ সন্তান। সোনাক্ষী মুম্বই এর আর্য বিদ্যা মন্দির থেকে তাঁর মাধ্যমিক জীবন সম্পন্ন করেন এবং মুম্বই এর মহারাষ্ট্রের এসএনডিটি ওমেন্স ইউনিভার্সিটি থেকে ফ্যাশন ডিজাইনিং বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেন।
সোনাক্ষী ২০০৫ সালে মেরা দিল লেকে দেখো ছায়াছবির জন্য পোশাক নকশা, পোশাক ডিজাইনার হিসাবে তাঁর কর্মজীবন শুরু করেন,এবং ল্যাকমে ফ্যাশন সপ্তাহ ২০০৮ এর র্যাম্প হিসেবে তার পদচারণা শুরু হয়। এবং এরপর আবার তিনি ল্যাকমে ফ্যাশন সপ্তাহ (২০০৯) যোগ দেন।
তারকা বাবার তারকা সন্তান সোনাক্ষী সিনহা। তার বাবা শত্রুঘ্ন সিনহা কিংবদন্তি ভারতীয় অভিনেতা। তিনি বর্তমানে লোকসভার এমপি। এই বছরও তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে আসানসোল কেন্দ্রে প্রার্থী হয়েছেন তিনি। শত্রুঘ্ন’র তিন সন্তানের মধ্যে মেয়ে সোনাক্ষী সিনহা অভিনেত্রী। যমজ দুই ছেলের মধ্যে একজন বাবার মতো রাজনীতিতে পা রেখেছেন। সোনাক্ষীর মা পুনমও রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। অর্থাৎ একই পরিবারের তিনজনই রাজনীতিতে।
ভারতীয় গণমাধ্যমে জোর গুঞ্জন আছে – ভবিষ্যতে সোনাক্ষী’রও কি অভিনেত্রী থেকে নেত্রী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ? এমন গুঞ্জনের উত্তরে সোনাক্ষী জানিয়ে দিয়েছেন নিজের উত্তর। তার দাবি – তিনি বাবার মতো নন। ঘাটতি রয়েছে তার।
এমনিতেই তারকার সন্তানরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অভিনয়কে পেশা হিসেবে বেছে নেন। অভিনয় জগতে এসে সোনাক্ষীকে বিভিন্ন সময় নানা কটাক্ষের মুখে পড়তে হয়েছে। আর তাই স্বজনপ্রীতির অভিযোগ থেকে রেহাই পেতে সোনাক্ষীও চান না বাবার সহযোগিতায় নিজের সাফল্য গড়তে। নিজে নিজেই ক্যারিয়ারে মনোযোগী এই স্টার কিড।
সোনাক্ষী জানান, তার বাবা সাধারণ মানুষের সঙ্গে সময় কাটাতে ভালোবাসেন। আর সোনাক্ষী নিজে সব কিছু ব্যক্তিগত রাখতে পছন্দ করেন। রাজনীতিতে এলে সারা দেশের জনগণের জন্য ভাবতে হয়। সেই ক্ষমতা তার মধ্যে নেই বলে তার ধারণা। সোনাক্ষী’র ধারণা রাজনীতির জন্য যে ধরনের জীবনবোধের প্রয়োজন, সেটা তার ভাবনাচিন্তার থেকে একেবারে ভিন্ন।
Leave a Reply