বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৭:৩১ পূর্বাহ্ন
শ্বশুর ভাশুর ও দুই দেবর মিলে গৃহবধুকে ধর্ষণ
-
প্রকাশিত :
রবিবার, ২৭ জুন, ২০২১
-
৮২৬
বার দেখা হয়েছে
আন্তর্জাতিক ডেক্স।। কাজের সুবাদে স্বামী বাসার বাইরে থাকেন। এই সুযোগে শ্বশুর, ভাশুর, দেবর মিলে গৃহবধূকে লাগাতার ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ তুলেছেন এক গৃহবধূ। ধর্ষণের বিষয়টি বিশ্বাস করতে চাননি ওই গৃহবধূর স্বামী। তাই ধর্ষণের প্রমাণ দেখাতে গোপনে নিজের মোবাইলে তার ভিডিও করেন ওই গৃহবধূ।
ওই প্রমাণ দেখার পর তার স্বামী ঘটনার প্রতিবাদ করলে তাকে নিজ বাড়িতে মারধর করে ঘরে আটকে রাখেন তার বাবা ও ভাইয়েরা। পরে এক আত্মীয়ের সাহায্যে পালিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন ওই গৃহবধূ। তদন্তে নেমে তার শ্বশুর এবং দুই দেবরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে অভিযুক্ত ভাশুর পলাতক রয়েছে।ভারতের ইটাহার গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এই অভিযোগ করার পর শনিবার (২৬ জুন) বিকেলে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।
পুলিশ জানায়, আট মাস আগে ওই গৃহবধূর বিয়ে হয়। প্রায় তিন মাস আগে গৃহবধূর স্বামী কাজ করতে বাইরে যাওয়ার পর তাকে ধর্ষণ করেন শ্বশুর কৈলাস চৌধুরী। সে কথা কাউকে জানালে বাড়ি থেকে বার করে দেওয়ার হুমকি দেয় শ্বশুর। ঘটনার কথা স্বামীকে জানালেও তা বিশ্বাস করেননি তিনি।
এর ক’দিন পরে ভাশুর রঞ্জিত চৌধুরীও গৃহবধূকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ করেন তিনি। তারপর থেকে প্রায় প্রতিদিনই ধর্ষণ চলতে থাকে বলে পুলিশকে জানিয়েছেন ওই গৃহবধূ। শ্বশুর-ভাশুর ছাড়াও দুই দেবর দেবাশিস এবং সুভাষ চৌধুরীও সুযোগ পেলেই তাকে ধর্ষণ করত। এমনকি, এ নিয়ে মুখ খুললে তাকে খুনের হুমকিও দেওয়া হত বলে ওই গৃহবধূর দাবি।
পুলিশের কাছে ওই গৃহবধূ জানিয়েছেন, শুক্রবার নিজের মোবাইল লুকিয়ে রেখে তাতে শ্বশুরের কাছে ধর্ষিতা হওয়ার ভিডিও করেন তিনি। শনিবার এই ঘটনার কথা জানার পর প্রতিবাদ করেন তার স্বামী। এরপর তার স্বামীকে মারধর করে ঘরে আটকে রাখে শ্বশুর বাড়ির লোকজন। তবে সুযোগ বুঝে বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে পাশের গ্রামে নিজের বাবার বাড়ির এক আত্মীয়ের সাহায্য নিয়ে ইটাহার থানায় লিখিত অভিযোগ করেন ওই গৃহবধূ। সেই ধর্ষণের ভিডিও থানায় জমা দেন তিনি।গৃহবধূর অভিযোগের ভিত্তিতে শনিবার শ্বশুর এবং দুই দেবরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে পুলিশের নজর এড়িয়ে পালিয়ে যায় ভাশুর। তার খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে ইটাহার থানার পুলিশ।
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
শেয়ার করুন
আরো সংবাদ
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Leave a Reply