1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : akter.panna.1 :
  3. [email protected] : Ashraful Abedin : Ashraful Abedin
  4. [email protected] : masud :
বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০২:০৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
লোকসানি খাত বাংলাদেশ রেলওয়ে দুই টাকা নয় পয়সা খরচ করে এক টাকা আয় করে —–রেল সচিব নির্বাচনী মাঠে যাদের কোন জনসমর্থন নেই তারাই পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চায় —হাবিব বিশুদ্ধ সাংবাদিকতা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি চর্চা এবং সেবার অঙ্গীকারে ডিডিপির কবি কন্ঠে কবিতা পাঠ ও সংগীতানুষ্ঠান সুরের মেলা ৩৫১ পর্ব অনুষ্ঠিত ঈশ্বরদীতে বর্নাঢ্য আয়োজনে বিএনপির ৪৭ তম প্রতিষ্টাবার্ষিকী উদযাপিত ঈশ্বরদীতে মৎস্য সপ্তাহের উদ্বোধন পাকশীতে রেলওয়ে প্রকৌশলী বিভাগের কর্মচারী এ্যাসোসিয়েশনের বারো দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন  ঈশ্বরদীতে যুবদলের পক্ষ থেকে উপজেলা প্রকৌশলীকে ফুলের শুভেচ্ছা প্রদান শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শের সৈনিক,কেন্দ্রিয় নেতা সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম সরদারের বলিষ্ট নেতৃত্বের প্রহর গুণছেন ঈশ্বরদী-আটঘরিয়ার সচেতন  ভোটারবৃন্দ রেলওয়ের ভাবমূর্তি নষ্টে ষড়যন্ত্র ॥ রেলমন্ত্রনালয়সহ দায়িত্বশীল কর্মকর্তা-কর্মচারিদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি উত্তরবঙ্গের অন্যতম শিল্পপতি সাহাবুদ্দিন মল্লিক নান্নুর ইন্তেকাল ॥ ভিভিন্ন মহলের শোক প্রকাশ

শিশুর অঙ্গহানীর সংবাদ প্রকাশের পর ঘটনা তদন্তের নির্দেশ আদালতের

  • প্রকাশিত : মঙ্গলবার, ৯ আগস্ট, ২০২২
  • ১১১৬ বার দেখা হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ পাবনার একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে সংবাদ প্রকাশের পর পাবনার বিজ্ঞ আদালতের নজরে আসায় বিষয়টি আমলে নিয়ে আগামি ২৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ প্রদান করেছেন পাবনার আমলী আদালত-১ এর অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ সাইফুল ইসলাম।
জানাগেছে,“পাবনা সদর হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় শিশুর অঙ্গহানির অভিযোগ ” শিরোনামে গত ২ আগস্ট মঙ্গলবার নিউজ পাবনাডটকম নামে একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদটি বিজ্ঞ আদালতের দৃষ্টিগোচর হলে বিষয়টি তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ প্রদান করা হয়। ঐ পোর্টালে প্রকাশিত সংবাদে উল্লেখ করা হয় পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভুলভাবে ইনজেকশন প্রয়োগ ও চিকিৎসার অবহেলায় শিশুর অঙ্গহানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগী শিশুর পিতা জাহিদুল ইসলাম জাহিদ পাবনা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে এ ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তের দাবিতে একটি স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন।
জাহিদুল ইসলাম জাহিদ এ বিষয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, আমার ১ বছর বয়সী শিশু মো. তাসিম মোল্লা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হলে গত ১০ জুন পাবনা জেনারেল হাসপাতালের ডায়রিয়া (উদরাময়) ওয়ার্ডে ভর্তি করি। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় গত ১২ জুন সকালে ডাক্তারের পেসক্রিপসন নির্দেশনা অনুযায়ী কর্তব্যরত নার্স আমার বাচ্চাকে ইনজেকশন পুশ করে। ইনজেকশনটি রগে (রক্ত নালীতে) প্রয়োগ না করে নার্স ভুল করে মাংসপেশিতে প্রয়োগ করে। ইনজেকশন পুশ করার পর থেকেই বাচ্চার ডান হাত ফুলতে থাকে এবং বাচ্চা ব্যাথার যন্ত্রনায় চিৎকার-আর্তনাদ করতে থাকে। বাচ্চার ব্যাথা ও কান্নার কারণে ডিউটিরত নার্সদেরকে বারবার দেখালে তিনি বলেন, ঠিক হয়ে যাবে। ইনজেকশন পুশ করার স্থানে (ডান হাত) ক্রমান্বয়ে লালাভ-বেগুণী বর্ণ ধারণ করে এবং আমার বাচ্চা অনবরত ব্যাথার যন্ত্রনায় কাঁদতে ও ছটফট করতে থাকে। আমার স্ত্রী বার বার নার্সদের ডেকে দেখালে তারা বলে, ধীরে ধীরে ঠিক হয়ে যাবে। তৎকালীন কর্তব্যরত ডাক্তারকে দেখালে তিনি ক্ষত স্থানে বরফ দিতে বলেন এবং নাপা সিরাপ খাওয়াতে বলেন।
১৩ জুন কর্তব্যরত ডাক্তারকে দেখালে তিনি পেসক্রিপসনে একটি মলম লিখে দেন এবং লাগাতে বলেন। ১৪ জুন তারিখে কর্তব্যরত ডাক্তারকে দেখালে তিনি আমার বাচ্চাকে শিশু ওয়ার্ডে রেফার করে দেন। বাচ্চার অনবরত ক্রন্দনে আমরা বারবার কর্তব্যরত ডাক্তার-নার্সদের শরণাপন্ন হচ্ছিলাম। তারা সবাই ঠিক হয়ে যাবার মিথ্যা আশ্বাস দেন। ১৮ জুন কর্তব্যরত ডাক্তারকে দেখালে ডাক্তার শিশুকে রক্ত দিতে বলেন। আমরা শিশুকে ১ ব্যাগ রক্ত দেই এবং রাত ১২টার দিকে হাসপাতাল ত্যাগ করি। ২১ জুন হাসপাতালে টিকিট কেটে ইমারজেন্সিতে ডা. নীতিশ স্যারকে দেখালে তিনি শিশুকে আবারও রক্ত দিতে বলেন। এ পর্যন্ত প্রতিটি ডাক্তারই বলেন, ঠিক হয়ে যাবে, কিন্তু কেউই বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয়নি।
৪ জুলাই হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মো. ওমর ফারুক মীর’র কার্যালয়ে অভিযোগ জানাতে গেলে সেসময় তার কক্ষে থাকা কর্মকর্তারা আমাকে পুলিশের ভয় দেখায় এবং আমার হাসপাতাল কর্তৃক প্রদত্ত রোগী ভর্তির ফরম মূল কপি রেখে ফটোকপি দেয়। এসময় আমার বাচ্চাকে ইউরো মেডিক্যাল কনসালটেশনে ডা. জাহেদী হাসান রুমীকে দেখাতে বলে। আমি শিশুকে ডা. জাহেদী হাসান রুমীর চেম্বারে দেখালে তিনি ঢাকার শিশু হাসপাতাল (নিটর, ঢাকা) রেফার করেন। আমরা ৬ জুলাই শিশুকে ঢাকার শেরেবাংলাস্থ পঙ্গু হাসপাতালে দেখালে তারা হাতে সার্জারির মাধ্যমে ডান হাতের ৩টি আঙ্গুল কেটে ফেলতে বলেন।
পরর্তীতে ২৯ জুলাই পাবনার শিমলা হাসাপাতালে অপরেশনের মাধ্যমে ৩টি আঙ্গুল কেটে ফেলা হয়। এসময় তিনি বলেন, আজ আপনার অবুঝ সন্তানের সাথে এমন হলে আপনি কি করতেন? শুধু আমার শিশু সন্তান নয়, পাবনা জেনারেল হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষ-চিকিৎসক-নার্সদের এরকম অবহেলায় প্রতিদিন অসংখ্য রোগী দুর্ভোগ ও অপচিকিৎসার শিকার হচ্ছেন। কিন্তু তা দেখার কেউ নেই। তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের মাধ্যমে কর্তৃপক্ষের নিকট ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করেন।
এদিকে এই সংবাদ প্রকাশের পর সার্বিক বিবেচনায় বিষয়টি পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য গত ০৪/০৮/২০২২ ইং তারিখে বিজ্ঞ আদালত নির্দেশ প্রদান করেন । এবং সেই সাথে তদন্ত কাজে সহযোগিতা করার জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট পাবনা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক এবং ঐ অনলাইন নিউজ পোর্টালের সম্পাদকসহ সংশ্লিষ্ট সকল ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশ প্রদান করেন।
অন্যদিকে বিজ্ঞ আদালত কর্তৃক এই মানবিক বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্তের নির্দেশ দেওয়ায় সচেতন মহলসহ প্রায় সকল মহলেই প্রশংসিত হয়েছে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ

সাম্প্রতিক সংবাদ

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায় সিসা হোস্ট