স্টাফ রিপোর্টার ॥ ঢাকার আশুলিয়ায় পুলিশ পরিচয়ে ছিনতাইকৃত হাইচ মাইক্রোবাস উদ্ধার পূর্বক জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (২৯শে ডিসেম্বর) সকালে ঈশ্বরদী উপজেলা প্রেসক্লাবে কুষ্টিয়া জেলার ভেড়ামারা থানার চাঁদ গ্রামের বাবুল হোসেনের ছেলে সুলতান আহম্মেদ এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করে বলেন, গত ১০ ডিসেম্বর শুক্রবার রাত দশটায় ঈশ্বরদীর নতুনহাট গ্রীনসিটি থেকে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে কর্মরত বিদেশি নাগরিককে নিয়ে হাইচ মাইক্রোবাস যাহার নং- ঢাকা মেট্রো- শ- ০০-০৫৭৮ যোগে ঢাকা বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা হন চালক মেহেদী হাসান পুলক। পরে ঐ বিদেশি নাগরিককে ১১ ডিসেম্বর রাত তিনটায় ঢাকা বিমানবন্দরের নামিয়ে ফেরার পথে ভোর চারটায় আশুলিয়া থানা এলাকার আব্দুল্লাহপুর-আশুলিয়া মহাসড়কের আশুলিয়া বেরিবাধ দৌড় এলাকায় পৌঁছালে মহাসড়কের ডানপাশে দাঁড় করানো একটি সাদা রঙের হাইচ মাইক্রোবাসের পাশে থাকা ট্রাফিক পুলিশের পোশাক পরিহিত এক ব্যক্তি গাড়ি থামানোর জন্য সিগনাল দেয় কিন্তু চালক গাড়ি না থামিয়ে সামনের দিকে যেতে থাকে , হঠাৎ করে সামনের দিক থেকে একটি ড্রাম ট্রাক চলে আসার কারণে হাইচ থামিয়ে দেন চালক। এসময় পিছন থেকে একটি হাইচ গাড়ি সামনে এসে গতিরোধ করে গাড়ি থেকে দুইজন ডিবি পুলিশের পোশাক পরিহিত এবং একজন মেট্রোপলিটন ট্রাফিক পুলিশের পোশাক পরিহিত চালকের কাছে গাড়ির কাগজপত্র দেখতে চাইলে চালক কাগজপত্র বের করে দিলে একজন সে কাগজপত্র দেখতে থাকে সাথে থাকা অন্যরা গাড়ি তল্লাশি করার কথা বলে চালককে জোর করে গাড়ি থেকে নামিয়ে তাদের গাড়িতে তুলে চোখ মুখ ও হাত-পা বেঁধে মারধর করে কিছুদূর যাওয়ার পর রাস্তায় চালককে ফেলে দিয়ে তারা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ছিনতাই হওয়া গাড়ির চালক মেহেদী হাসান পুলক বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় অজ্ঞাত ৪ ব্যক্তির বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। (আশুলিয়া থানার মামলা নং- ২৭, তাং- ১১/১২/২০২১ইং)। তিনি আরও বলেন,ঘটনার ১৭দিন অতিবাহিত হলেও আমার গাড়ী উদ্ধারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো ধরনের তৎপরতা নেই বললেই চলে। তিনি দ্রুত ছিনতাই হওয়া গাড়ীটি উদ্ধার পূর্বক ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান। সংবাদ সম্মেলনে সুলতানের ভাই মীর আবু ওয়ারেস, বন্ধু সোহেল মাহমুদ, বেলাল হোসেন রিপনসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply